উত্তরের ত্রাণে রাস্তায় বাঁকুড়ার পড়ুয়ারা

উদ্যোগটা প্রথমে নিয়েছিলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের কিছু ছাত্রছাত্রী। ত্রাণ সংগ্রহে যাতে তাদের সঙ্গে অন্যরাও এগিয়ে আসেন, ফেসবুক পেজে সেই আবেদন জানান তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০৮:২০
Share:

উজাড়: খুদের ত্রাণ। বাঁকুড়ায়। নিজস্ব চিত্র

বন্যায় বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ। জল নামলেও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি। বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করতে রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থা এবং বিভিন্ন ক্লাবের পাশাপাশি এ বার পথে নামলেন বাঁকুড়ার কলেজ পড়ুয়ারাও।

Advertisement

উদ্যোগটা প্রথমে নিয়েছিলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের কিছু ছাত্রছাত্রী। ত্রাণ সংগ্রহে যাতে তাদের সঙ্গে অন্যরাও এগিয়ে আসেন, ফেসবুক পেজে সেই আবেদন জানান তাঁরা।

আহ্বানে সাড়া দেন রামানন্দ কলেজ, সারদামণি গার্লস কলেজ, বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ-সহ জেলার আরও বেশ কিছু কলেজের পড়ুয়রা। স্কুলের কিছু খুদে ছাত্রও এগিয়ে এসে যোগ দেয় দাদা-দিদিদের সঙ্গে। মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের বাজার এলাকায় ও বুধবার শহরের বেশ কিছু স্কুল কলেজে গিয়ে ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। এ ছাড়াও অনেকের কাছে আবেদন জানিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ডিজিটাল ওয়ালেটের মাধ্যমে ত্রাণের টাকা সংগ্রহ করছেন ওই পড়ুয়ারা।

Advertisement

বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শুভদীপ গিরি, পার্থসারথী মণ্ডল, সুরজিৎ মণ্ডল, সায়ন্তনী সেনগুপ্ত, সজ্জিতা দাসরা বলেন, ‘‘টিভি, খবরের কাগজ, ফেসবুকের নিউজ ফিড— সর্বত্র বন্যা কবলিত মানুষের কষ্টের কথা আর ছবি। দেখতে দেখতে কিছু একটা করার একটা তাগিদ তৈরি হয়েছিল। তা থেকেই রাজ্যের বন্যা পিড়িত মানুষদের জন্য ত্রাণ
সংগ্রহে নামলাম।’’

তাঁরা জানান, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকাগুলির জন্য ৩০ হাজার টাকা ত্রাণ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

কলেজের ওই ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই বন্যা কবলিত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার ভগবানচক, গৌরীচক ও জয়রামচক এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উত্তরবঙ্গে ত্রাণ পাঠানোর জন্য একটি বেসরকারি সেছ্বাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে
জানান তাঁরা।

শুভদীপ বলেন, ‘‘সমব্যথী নাম দিয়ে একটি গ্রুপ বানিয়ে একজোট হয়েছি আমরা। তবে এটা কোনও স্থায়ী সংগঠন নয়। আপাতত বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ত্রাণ সংগ্রহই আমাদের লক্ষ্য। এই কাজ শেষ হলে এই গ্রুপও মুছে
ফেলা হবে।’’

তবে আগামী দিনে এ ধরণেরই তাগিদ তাঁদের ফের এক জোট করে ফেলবে বলেই মনে করছেন ওই পড়ুয়ারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন