ধৃত নেতার আমড্যাংরার বাড়িতে সূর্য

অমিয়বাবু বলেন, ‘‘আমরা মনোরঞ্জনের স্ত্রী সুমিত্রা তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের পাশে দল সবরকম ভাবে আছে বলে জানানো হয়েছে।’’ সিপিএম নেতৃত্ব এসেছেন শুন খবর পেয়েই সেখানে জড়ো হয়ে যায় তৃণমূলের লোকজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তালড্যাংরা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:১৩
Share:

পরিবারের সঙ্গে কথা। নিজস্ব চিত্র

তৃণমূল কর্মী খুনে ধৃত সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনোরঞ্জন পাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। বুধবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহ পর্যন্ত জাঠা কর্মসূচির পরে সূর্যকান্তবাবু, দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অমিয় পাত্র-সহ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে আমড্যাংরায় মনোরঞ্জনবাবুর বাড়িতে যান। তাঁর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। খবর পেয়ে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সেখানে চলে যায়।

Advertisement

অমিয়বাবু বলেন, ‘‘আমরা মনোরঞ্জনের স্ত্রী সুমিত্রা তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের পাশে দল সবরকম ভাবে আছে বলে জানানো হয়েছে।’’ সিপিএম নেতৃত্ব এসেছেন শুন খবর পেয়েই সেখানে জড়ো হয়ে যায় তৃণমূলের লোকজন। তাঁরা সূর্যবাবুদের ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান বলেন অভিযোগ। আমড্যাংরার বাসিন্দা তৃণমূলের তালড্যাংরা ব্লক সহ-সভাপতি নিতাই চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা একজন খুনির পাশের দাঁড়ানোর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়েছি।’’ অমিয়বাবু বলেন, ‘‘আমরা মনোরঞ্জনের বাড়ি যাব আর তৃণমূল কর্মীরা কিছু করবে না, তা কি করে হয়। ওটাই ওদের সংস্কৃতি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, সূর্যকান্তবাবুদের শান্তিপূর্ণ ভাবেই পুলিশি ঘেরাটোপে এলাকা পার করে দেওয়া হয়েছে।

মাসখানেক আগে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায় ও বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্যের অনুগামীদের গোলমালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তালড্যাংরার আমড্যাংরা এলাকা। সেই সময়েই ঢ্যামনামারা গ্রামের এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। অভিযোগ উঠেছিল, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই তাঁকে পিটিয়ে করা হয়। ওই ঘটনায় ইতিপূর্বেই পুলিশ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, খুনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত তাদের কাছে দাবি করেছিল, চার বারের সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জনবাবুর নির্দেশেই সে তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে। এর পরেই পুলিশ শুক্রবার রাতে তাঁকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে গ্রেফতার করে। সূর্যকান্তবাবুরা অবশ্য, মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন