অমিতাভ মিশ্রকে শুভেচ্ছা মোদীর

এ দিন সম্মানিত হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা, রৌপ্য পদক ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার: শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৪১
Share:

সাক্ষাৎ: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক। ছবি: টুইটার থেকে

পশ্চিমবঙ্গ থেকে নয়াদিল্লিতে এ বার এক মাত্র জাতীয় শিক্ষকের সম্মান পেলেন মানবাজারের গোবিন্দপুর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র। বুধবার জাতীয় শিক্ষক দিবসে নয়াদিল্লির বিজ্ঞানভবনে উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি। ছিলেন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর প্রমুখ। এ দিন সম্মানিত হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাতে পঞ্চাশ হাজার টাকা, রৌপ্য পদক ও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়।
আগের দিন মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বার জাতীয় শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষকদের সঙ্গে মিলিত হন। প্রধানমন্ত্রী অমিতাভ মিশ্রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে তোলা ছবি টুইট করেন। তিনি টুইটে লেখেন—‘‘বাসিন্দাদের উৎসাহীত করে তিনি স্কুলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছেন। তিনি প্রান্তিক এলাকার পড়ুয়াদের ক্লাসের পরে, এমনকী ছুটির দিনেও পড়ান শুনে খুশি হয়েছি।’’
বস্তুত, মানবাজার ১ ব্লকের এই স্কুল ইতিপূর্বেই নির্মল বিদ্যালয়, যামিনী রায় পুরস্কার, শিশুমিত্র পুরস্কার প্রভৃতি স্বীকৃতি পেয়েছে। এ বার তাই মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতাভবাবুকে জাতীয় শিক্ষকের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা শোনার পর থেকেই উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে এলাকায়। এ দিন সম্মানপ্রাপ্তির পরে নয়াদিল্লি থেকে তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবার আমরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এক চা চক্রে মিলিত হয়েছিলাম। সেখানে অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন। আমাদের স্কুলে আদিবাসী পড়ুয়া কত জন, তাদের কী ভাবে পাঠ দেওয়া হয়, এই সব বিষয়ে জানতে চান তিনি। পরে পিছিয়ে থাকা জনজাতির পড়ুয়াদের আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।’’
মানবাজার শহর থেকে তিন কিমি দূরে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় স্কুলটি অবস্থিত। পড়ুয়ার সংখ্যা ১০৪। প্রধান শিক্ষক ও দুই শিক্ষিকা রয়েছেন স্কুলে। পড়ুয়াদের ৯৫ শতাংশ আদিবাসী। মন্দির ও আশ্রমের মিশেলে স্কুলটি গড়া হয়েছে। স্কুলে মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্যে দূরবীন থেকে সৌর শক্তির বিদ্যুতের ব্যবস্থা, পরিশোধিত পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে পাখিরালয় পর্যন্ত রয়েছে। স্কুল-পত্রিকা রয়েছে। সেখানে নিয়মিত কচিকাঁচাদের লেখা প্রকাশিত হয়। পড়ুয়ারাই বাড়িতে শৌচালয় গড়া, খাবার আগে হাত ধোয়ার কথা বলে গ্রামেও পরিবর্তন এনেছে। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে অমিতাভবাবু বলেন, ‘‘এই স্বীকৃতি শুধু আমার নয়, স্কুলের সব শিক্ষক, পড়ুয়াদেরও। সবাই মিলে আমরা স্কুলের সঙ্গে এলাকার পরিবর্তনের কাজ করে যাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন