Mucormycosis

ছ’মাস পর ‘শূন্য’ বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ, স্বস্তির হাওয়া চিকিৎসকমহলে

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে এক মিউকরমাইকোসিস রোগী চিকিৎসার জন্য যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৪৭
Share:

রোগী শূন্য বাঁকুড়ার মিউকরমাইকোসিস বিভাগ। —নিজস্ব চিত্র।

স্বস্তির খবর শোনাল রাজ্যের অন্যতম আঞ্চলিক মিউকরমাইকোসিস চিকিৎসা কেন্দ্র বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ। গত ছ’মাসে মঙ্গলবার প্রথম রোগী শূন্য হল ওই হাসপাতাল। পাশাপাশি চিকিৎসকদের দাবি, বিশ্বে মিউকরমাইকোসিসে রোগী মৃত্যুর হার যেখানে ২০ শতাংশের বেশি, সেখানে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে রোগী মৃত্যুর হার ১৫ শতাংশের নীচে নামানো সম্ভব হয়েছে। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় নজিরবিহীন এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে এক মিউকরমাইকোসিস রোগী চিকিৎসার জন্য যান। এর কিছু দিনের মধ্যেই ওই হাসপাতালটি মিউকরমাইকোসিস চিকিৎসার জন্য আঢ্লিক কেন্দ্র হিসাবে স্বীকৃতি পায়। বাড়তে থাকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তদের সংখ্যাও। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ মাসে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে মোট ৫০ জন মিউকরমাইকোসিস রোগীর। বাঁকুড়া ছাড়াও ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দারাও ওই হাসপাতালে যান চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালের দাবি, ৫০ জন রোগীর মধ্যে সাত জন মারা গেলেও, বাকি ৪৩ জনকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের মিউকরমাইকোসিস বিভাগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক মহিলা রোগী ভর্তি ছিলেন। পরে তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হলে আপাতত খালি হয়ে যায় হাসপাতালের ওই বিভাগ।

বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, ‘‘মিউকরমাইকোসিস চিকিৎসার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এই হাসপাতালকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করার পর থেকে এই অসুখের চিকিৎসা ক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত উন্নতি হয়েছে। এই চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সরঞ্জাম, ওষুধ এবং ইঞ্জেকশন সরবরাহ ছিল নিয়মিত। পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মিলিত অক্লান্ত প্রয়াসেই এই সাফল্য মিলেছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন