এঁটো বাসন নিয়ে চম্পট দিল চোর

বৃহস্পতিবার রাতে চত্বরের দশটি ঘরের দাওয়ায় রাখা সমস্ত বাসনকোসন নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। চুরি হয়েছে একটি সাইকেলও। ওই চত্বরের বাসিন্দা ঝর্না সেনের দাবি, রাত দেড়টা নাগাদ শৌচের জন্য বেরিয়ে তিনি দেখেন দু’জন পাইপ বেয়ে ছাদে ওঠার চেষ্টা করছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৪০
Share:

এই ফাঁক দিয়েই চোরেরা ঢুকেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।— নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের এক প্রকার নাকের ডগা দিয়েই এঁটো বাসন নিয়ে চম্পট দিল চোরেরা।

Advertisement

বাঁকুড়া শহরের সুভাষরোড তাম্বুলিবাকুল এলাকায় একই চত্বরে গোটা পনেরো পরিবারের বসবাস। সুভাষরোড চকবাজারের মধ্যে চৌখুপি মতো জায়গা। মূল একটা দরজা দিয়ে ঢুকতে হয়। বাইরে দোকান, ভিতরে বসতঘর। রোজ রাতে বাড়ির দাওয়ায় এঁটো বাসন রেখে ঘুমোতে যান বাসিন্দারা। সকালে মাজা হয়। এক ক্যাটিরিং ব্যবসায়ীও থাকেন ওই চত্বরে। তাঁর রান্নার বাসন, সরঞ্জামও রাখা থাকে।

বৃহস্পতিবার রাতে চত্বরের দশটি ঘরের দাওয়ায় রাখা সমস্ত বাসনকোসন নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। চুরি হয়েছে একটি সাইকেলও। ওই চত্বরের বাসিন্দা ঝর্না সেনের দাবি, রাত দেড়টা নাগাদ শৌচের জন্য বেরিয়ে তিনি দেখেন দু’জন পাইপ বেয়ে ছাদে ওঠার চেষ্টা করছে। ছাদের গেট খুললেই মূল বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়া যায়। ঝর্না চেঁচিয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, ‘‘সঙ্গে সঙ্গে একজন ফিরে এসে আমাকে ফেলে দেয়। তারপরে গেট আর পাইপ বেয়ে, দেওয়াল টপকে পালিয়ে যায়।’’

Advertisement

ঝর্নাই সবাইকে ডেকে আনেন। চত্বরের বাসিন্দা বুম্বা দত্ত ক্যাটারিং ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘‘আমার অ্যালুমিনিয়াম, স্টিল আর পিতলের বাসনকোসন ছিল। একটা বড় গ্যাস সিলিন্ডার ছিল। সব চুরি হয়েছে।’’ শোভা দত্তর দাওয়ায় কাঁসার থালা, বাটি গ্লাস ছিল। দেখা যায়, তার কিচ্ছু নেই। চুরি হয়েছে এক বাসিন্দার সাইকেলও।

ওই জায়গা থেকে মেরেকেটে পঞ্চাশ মিটার দূরে পুলিশ ফাঁড়ি। সেখানে যাওয়া হয়। বাসিন্দাদের দাবি, অনেক ডাকাডাকিতে একজন ফাঁড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। বলা হয়, বাহিনী নেই। থানায় যেতে হবে। সকালে তাঁরা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। পুলিশ এসে তদন্ত করে যায়। যে দোকানগুলি দিয়ে ওই চত্বরটি ঘেরা, তার একটি সংস্কার করা হচ্ছে। কিছুটা জায়গা ভাঙাচোরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, সেখান দিয়েই চোরেরা ঢুকেছিল।

চুরির পরে বাসিন্দারা এলাকায় মদের ঠেক নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। কিছুটা দূরে, নাপিতগলিতে পথবাতিগুলির মূল সুইচ রয়েছে। অভিযোগ, সন্ধ্যার পরেই সেখান থেকে আলো নিভিয়ে দেয় মদ্যপরা। বন্ধ দোকানের দাওয়ায় বসে ঠেক। রাত দু’টোর আগে আর আলো জ্বলে না। এর ফলে এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে বলে অভিযোগ।

যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, রাতে টহল থাকে। এমন কিছুই হয় না।

তার পরেও কী ভাবে এমন চুরি হল, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন