পরিকাঠামোর সমস্যা তো রয়েইছে, কর্মীরও অভাব। তবুও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দক্ষতা মানের উপর বিচার করেই পুরস্কৃত হচ্ছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিন কর্মী!
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন মুরারই ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনা। ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ শান্তনু ভট্টাচার্য ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার কার্তিক পাত্র এবং একই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবিকা কেয়া সিংহ স্বাস্থ্য সম্মানের পুরস্কার পাচ্ছেন। ২৮ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় তাঁদের হাতে স্বাস্থ্য সম্মানের পুরস্কার তুলে দেবেন। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ব্রজেশ্বর মজুমদার বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য জেলার অধীন মুরারই ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ডেলিভারি, জন্ম নিয়ন্ত্রণ, কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় এবং হাসপাতালের সার্বিক কার্যকলাপের দিকে লক্ষ্য রেখে স্বাস্থ্য সম্মানের পুরস্কার পাচ্ছেন। এবং সেক্ষেত্রে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিএমওএইচ একজন মেডিক্যাল অফিসার ও একজন নার্স পুরস্কারের তালিকায় আছেন।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মুরারই ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিএমওএইচ-সহ ৬ জন চিকিৎসকের অনুমোদিত পোস্ট আছে। সেখানে বিএমওএইচ-সহ তিন জন চিকিৎসক আছে। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীন চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রর মধ্যে কাঠিয়া ও ভীমপুর এই দুই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক নেই। নার্স ও ফার্মাসিস্ট ভরসায় হাসপাতাল চলছে। রুদ্রনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক এনআরএইচএম প্রজেক্টের চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত আছেন। সেখানে সম্প্রতি ফার্মাসিস্ট অবসর নেওয়ার ফলে ফার্মাসিস্ট নেই। মুরারই ২ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চতুর্থ শ্রেনি কর্মীর অভার আছে। এত কিছু অভাবের মধ্যেও ৩০ শয্যা বিশিষ্ট মুরারই ২ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গড়ে প্রায় প্রতিদিন বর্হিবিভাগে রোগীর সংখ্যা ৫০০ থেকে ৭০০ জন। জরূরী বিভাগে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন রোগী চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। কেউ কেউ বলছেন, এই পরিষেবার জন্যই পুরস্কার। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনের সচিব সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ রামপুরহাট জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে পুরস্কার তালিকা পাঠিয়েছেন।
সিএমওএইচ বলেন “রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ৫০ শতাংশ চিকিৎসক এবং কর্মী অভাব আছে। সেখানে এই পুরস্কার অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে উৎসাহ জোগাবে।” শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘গড়ে প্রায় ১৫ জন প্রসুতির ডেলিভারি হয়। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মধ্যে অন্যান্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে রেফার কেস বছরে প্রায় ৪০ শতাংশ, সেখানে মুরারই ২ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রেফার কেস মাত্র ৭ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশ।’’ পরিকাঠামো উন্নতির জন্য ইতিমধ্যে সিএমওএইচ ছাড়াও বিডিও, মহকুমাশাসক, জেলাশাসক এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর মাধ্যমে একাধিক বার আবেদন জানিয়েছেন বিএমওএইচ। রামপুরহাট মহকুমা শাসক সুপ্রিয় দাস বলেন, ‘‘মুরারই ২ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাফল্য অবশ্যই জেলার অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির চিকিৎসক, নার্স, কর্মীদের উৎসাহিত করবে। ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিকাঠামো গত উন্নতির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’’
মহম্মদবাজারে ক্রিকেট। অন্যান্য বছরের মতো এ বারও মহম্মদবাজার কলোনি কমিটির পরিচালনায় ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ৫ দিন ব্যাপী ১৬ দলীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। কলোনি সংলগ্ন মাঠেই ওই খেলা হবে। অন্যতম উদ্যোক্তা রাহুল ধীবর এবং মহিম শেখ জানান, উইনার্স ও রানার্স দলকে ট্রফি-সহ যথাক্রমে ৫০,০০০ এবং ৩০,০০০ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।