DYFI Protest

ফলক ‘বিতর্কে’ পথে সিপিএম

এ দিন এসএফআই ও ডিওয়াইএফের তরফে উপাচার্যের ‘অনৈতিক’ ভাবে ফলক লাগানোর বিরোধিতা করে মিছিলের পাশাপাশি শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিসের সামনে দু’টি অস্থায়ী প্রতীকী ফলকও বসানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৬
Share:

এবার ফলক বিতর্ক নিয়ে পোস্টার দিল এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিস মোড়ে।রবিবার। ছবিঃ বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

বিশ্বভারতীর ‘বিতর্কিত’ ফলক নিয়ে টানা ধর্না চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। শনিবার এ নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। রবিবার এ নিয়ে পথ নামল সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠন। ফলকের বিরোধীতার পাশাপাশি উপাচার্যের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবেরও বিরোধিতা হবে বলে তারা জানিয়েছে। এ নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

Advertisement

এ দিন এসএফআই ও ডিওয়াইএফের তরফে উপাচার্যের ‘অনৈতিক’ ভাবে ফলক লাগানোর বিরোধিতা করে মিছিলের পাশাপাশি শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিসের সামনে দু’টি অস্থায়ী প্রতীকী ফলকও বসানো হয়। তার একটিতে লেখা আছে ‘রবীন্দ্র ঐতিহ্যমণ্ডিত বিশ্বভারতী-সহ শান্তিনিকেতন ইউনেস্কো দ্বারা ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান’। ঠিক তার পাশেই আর একটি প্রতীকী ফলকে লেখা আছে, ‘রবীন্দ্র ভাবনা ও আদর্শ বিরোধী উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি মানছি না’। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এসএফআই বোলপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক সাগ্নিক লালা, ডিওয়াইএফআই-এর তরফে উপস্থিত ছিলেন শৌণক রুদ্র-সহ অনেকেই।

সাগ্নিক বলেন, “ শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। কিন্তু উপাচার্য এখানে যে ভাবে রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করে চলেছেন তার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। সে মতো আমরা দু’টি প্রতীকী ফলক লাগিয়েছি। আগামী দিনেও এই ধরনের চেষ্টা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনেও নামব।”

Advertisement

অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো শান্তিনিকেতনে তৃণমূলের ধর্না অবস্থান দশম দিনে পড়ল। এ দিনও তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ থেকে উপাচার্যকে নিশানা করতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের। এফএফআই ও ডিওয়াইএফআই-এর পথে নামা প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘ওঁরা সস্তায় বাজিমাত করতে চাইছেন। তাই ফলক বিতর্কের এত দিন পরে তাঁদের রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে।’’

যদিও সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে মোটেও সস্তার রাজনীতি নয়। আমাদের ছাত্র, যুবরা শুধু বোঝাতে চেয়েছেন, রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতন হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন