বোমা মাঠপলশায়, পাল্টা পথ অবরোধ

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাবের আলি খানের অনুগামীদের সঙ্গে দলের জেলা কমিটির সদস্য সাধন মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের বিরোধ লেগেই রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০২
Share:

লন্ডভন্ড: সভাস্থলে হামলার পরে। শুক্রবার মাঠপলশার রোঙ্গাইপুরে। নিজস্ব চিত্র

বোমাবাজি হল সাঁইথিয়ার মাঠপলশা পঞ্চায়েতের রোঙ্গাইপুর গ্রামে। তৃণমূলের গোষ্ঠী বিবাদে ওই বোমাবজি বলে স্থানীয় মানুষজনের দাবি। বোমাবাজির পাল্টা হিসেবে পথ অবরোধের ঘটনাও ঘটে।

Advertisement

এই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠী বিবাদ নতুন নয়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাবের আলি খানের অনুগামীদের সঙ্গে দলের জেলা কমিটির সদস্য সাধন মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীদের বিরোধ লেগেই রয়েছে। দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে বিভিন্ন সময় উত্তেজনা ছড়িয়েছে মাঠপলশা পঞ্চায়েতে। এমনকি দীর্ঘ দিন ওই পঞ্চায়েতে উপসমিতি গঠিত হয়নি। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ সাহা এলাকায় সাবের আলি খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। অন্য দিকে, উপপ্রধান মহম্মদ ইউনুস সাধনবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত।

এ দিন দুপুরে সাধনবাবুর অনুগামীদের সভা ছিল রোঙ্গাইপুরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেই সভা বানচালের জন্য প্রধানের নেতৃত্বে এক দল লোক হামলা চালায়। মারধরের পাশাপাশি বোমা ছোড়ে, চেয়ার-টেবিল ও মাইক-বক্সের সেট ভেঙে দেয় বলেও অভিযোগ। তার পরেই উপপ্রধানের নেতৃত্বে সাধনবাবুর অনুগামীরা সিউড়ি-সাঁইথিয়া সড়ক অবরোধ করে। প্রায় ৪০ মিনিট পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। প্রধান অভিজিৎ সাহা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। আমি পঞ্চায়েতের কাজে জেলা পরিষদে এসেছি। কিছু দুষ্কৃতী নিজেদের মধ্যে ঝামেলা পাকিয়ে ওই সব অভিযোগ করছে।’’

Advertisement

জেলা কমিটির সদস্য সাধন মুখোপাধ্যায় জানান, প্রতি সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহের শুক্রবার ১৬টি সংসদের হাজারখানেক মহিলা ও পুরুষ কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে সভা করছিলেন। সাধনবাবুর কথায়, ‘‘সভার শেষ মুহূর্তে কোথা থেকে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী এসে প্রথমেই বোমাবাজি শুরু করে। তাতে দলের বেশ কিছু কর্মী আহত হন।’’ এর পরেই তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে রাস্তা অবরোধ করেন বলে মেনেছেন সাধনবাবু। তিনি অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি। ‘‘এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সর্ম্পক নেই’’— বলছেন সাধনবাবু।

সাঁইথিয়া ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান বলেন, ‘‘এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। জানিও না। ওরা নিজেরাই বোমা বাঁধছিল। হঠাৎ ফেটে যায়। তার পরে সেটা লুকনোর জন্য আমদের উপরে দোষ চাপাছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন