Satabdi Roy

‘আবাস পাইনি, শৌচাগার হয়নি, জলেরও সমস্যা’, বীরভূমে জনতার প্রশ্নের মুখোমুখি সাংসদ শতাব্দী

সমস্ত অভিযোগই মন দিয়ে শোনেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। লিখেও রাখতে বলেন সহকারীকে। জানান, এ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:০২
Share:

শতাব্দীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘অনেকে পাকা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলছেন, আমি পাকা বাড়ি পাইনি। ৪ সদস্যের পরিবারের সবাইকে বাড়ি দেওয়া সম্ভব কি?’’ নিজস্ব চিত্র।

আবারও নিজের লোকসভা এলাকায় জনতার প্রশ্নের মুখে পড়লেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। সোমবার ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ কর্মসূচি উপলক্ষে মহম্মদবাজারের মকদমনগরে যান সাংসদ। সেখানে মহিলারা কার্যত ঘিরে ধরেন সাংসদকে। অনেকে ক্ষোভের সুরে প্রশ্ন করেন, ‘‘কেন গ্রামের সব বাড়িতে শৌচাগার হয়নি? কেন প্রকৃত প্রাপকরা আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি? কেনই বা বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে?’’ সমস্ত অভিযোগই মন দিয়ে শোনেন সাংসদ। লিখেও রাখতে বলেন সহকারীকে। জানান, এ নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

Advertisement

গত ২১ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রামেই গিয়েছিলেন জেলাশাসক। তখনও শৌচালয়, বাড়ি এবং পানীয় জলের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। আবারও অভিযোগের মুখোমুখি হলেন স্বয়ং সাংসদ। এ নিয়ে শতাব্দী বলেন, ‘‘জেলার উন্নয়ন বৈঠকে ৯৯ শতাংশ শৌচাগার তৈরির রিপোর্ট রয়েছে। তার পরও কেন এখানে হল না, আমি খোঁজ নেব।’’

আগে বীরভূমে ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে বেরিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী। রবিবারও দুবরাজপুর বিধানসভার খয়রাশোল ব্লকে রাস্তার দশা খারাপ কেন, এ নিয়ে ক্ষোভ দেখান অনেকে। সোমবার মকদমনগরে বেশ কিছু ক্ষণ তৃণমূল সাংসদ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। শতাব্দীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘অনেকে পাকা বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলছেন, আমি পাকা বাড়ি পাইনি। ৪ সদস্যের পরিবারের সবাইকে বাড়ি দেওয়া সম্ভব কি? তা হলে তো যাঁদের পাওয়া উচিত, তাঁরা বঞ্চিত হবেন।’’

Advertisement

তবে এই অভিযোগ-অনুযোগের মধ্যে আবার তারকা-সাংসদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও ভিড় করেন অনেকে। কর্মসূচি শেষ করে গাড়িতে ওঠার সময় শতাব্দী বলেন, ‘‘জল, শৌচাগারের দাবি আছে। এটা নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে আমি কথা বলব। ‘মিশন নির্মল বাংলা’য় অনেক জায়গায় শৌচাগার হয়ে গিয়েছে। হিসেবে দেখলাম ৯৯ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। তা হলে এখানে কেন হল না, তা নিয়ে খবরাখবর নেব।’’ তবে ওই এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে খুশি সাংসদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন