TMC Panchayat Worker

তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দলের পঞ্চায়েত সদস্যার

সুমতিরও নিজস্ব জায়গা রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, জাল দলিল করে দুই প্রতিবেশী এবং এলাকার কয়েক জন কিছু বছর আগে তাঁদের জমি-বাড়ি হাতিয়ে নিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪ ০৬:১০
Share:

বোলপুরে তাতারপুর কলোনির বাসিন্দা সুমতি রায় সরেনের পৈতৃক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ তার প্রতিবেশী ও শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

নিজের বাড়িতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা।

Advertisement

সংবাদ মাধ্যমের সামনে কয়েক জনের বিরুদ্ধে কীর্ণাহারে, তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ জানালেন। তৃণমূলের একাংশ নেতা-কর্মীও জড়িত রয়েছেন বলে দাবি করলেন। এবং বিজেপি-কে পাশে নিয়েই নিজের দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বোলপুরের সিয়ান মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্যা সুমতি রায় সরেন। পৈতৃক সম্পত্তি ফিরে না পেলে দল ছাড়ার কথাও জানিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

বোলপুরে তাতারপুর কলোনিতে থাকেন সুমতি রায় সরেন ও তাঁর স্বামী শুভেন্দু রায়। এ দিন সুমতির দাবি, পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে কীর্ণাহার রেল স্টেশনের কাছে তাঁদের দু’টি বাড়ি ও বেশ কিছু পরিমাণ জমি আছে। সেখানে সুমতিরও নিজস্ব জায়গা রয়েছে। তাঁর অভিযোগ, জাল দলিল করে দুই প্রতিবেশী এবং এলাকার কয়েক জন কিছু বছর আগে তাঁদের জমি-বাড়ি হাতিয়ে নিয়েছেন। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের দফতর থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে সুমতি এ দিন জানান।

Advertisement

সুমতির দাবি, ‘‘আমি ও আমার স্বামী রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু, কোনও সাড়া পাইনি। দলের নেতাদেরও বিষয়টি জানিয়েছিলাম। তাঁরা ভ্রুক্ষেপ করেননি।’’ তাঁদের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরেই তাঁদের জমি বাড়ি দখল করে রাখা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু, কোনও ভাবেই উদ্ধার করতে পারছেন না। এর পিছনে ওই এলাকার কিছু তৃণমূলের কর্মী সমর্থকও রয়েছেন বলে সুমতি ও শুভেন্দুর দাবি। এখানেই না-থেমে শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, ‘‘এই দলে সব জায়গাতেই লুটেপুটে খাওয়া। সেই জন্য আজ বাধ্য হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছি। আমি এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করছি।”

সুমিতার বাড়িতে হাজির বিজেপি কর্মী উদয় ভকত বলেন, “সুমতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের। তিনি কোন দল করেন, তা আমাদের দেখার বিষয় নয়। উনি অসহায় হয়ে বিজেপি কর্মীদের সাহায্য চেয়েছেন। তাই আমরা তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।” বোলপুরের বিধায়ক ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। উনি হঠাৎ কেন বিজেপি কর্মী সমর্থকদেরকে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন, তাও বলতে পারব না। খোঁজ নিয়ে দেখে দল ব্যবস্থা নেবে।” মহকুমাশাসক (বোলপুর) অয়ন নাথ বলেন, ‘‘অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন