অভিযোগ বড়জোড়ার থানার বিরুদ্ধে

সিপিএম বিধায়ককে শাসকদলে টানতে চাপ

সোনামুখীর পর এ বার বড়জোড়ায়। ফের পুলিশের বিরুদ্ধে বামফ্রন্টের বিধায়কদের চাপ দিয়ে শাসকদল তৃণমূলে টানার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ তুলে রবিবার বড়জোড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বড়জোড়া শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৬ ০০:৫৮
Share:

থানায় বিক্ষোভ দেখাতে যাচ্ছেন নেতৃত্ব। রবিবারের নিজস্ব চিত্র।

সোনামুখীর পর এ বার বড়জোড়ায়। ফের পুলিশের বিরুদ্ধে বামফ্রন্টের বিধায়কদের চাপ দিয়ে শাসকদল তৃণমূলে টানার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগ তুলে রবিবার বড়জোড়া থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক অজিত পতি, জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য প্রতীপ মুখোপাধ্যায়, শেখর ভট্টাচার্য প্রমুখ।

Advertisement

কয়েক দিন আগেই সোনামুখীর সিপিএম বিধায়ক অজিত রায়ের ভাই বাড়িতে বেআইনি মদ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পেয়ে রাতে তল্লাশি চালাতে যায় পুলিশ। পরে অবশ্য পুলিশ স্বীকার করে ওই অভিযোগ মিথ্যা ছিল। যদিও এই ঘটনার পিছনে তাঁকে চাপ দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য পুলিশের কৌশল বলে অভিযোগ তুলেছিলেন অজিতবাবু। প্রতিবাদে সে দিন সোনামুখী থানায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় সিপিএম নেতা-কর্মীরা।

ওই ঘটনার ক’দিনের মধ্যেই বড়জোড়ার বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী দাবি করেন, থানায় ডেকে বড়জোড়ার আইসি দিলীপ কর্মকার তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপাচাপি করেন।

Advertisement

এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকে হারিয়ে বড়জোড়ার বিধায়ক হন সুজিতবাবু। ভোটের পর থেকে এই বিধানসভা কেন্দ্রে বিরোধীদের উপর হামলার একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। সুজিতবাবুর উপরেও হামলা হয়েছে। এ দিন তিনি অভিযোগ করেন, “কিছু দিন আগে আমাকে থানায় ডেকে বলা হয় তৃণমূলে যোগ দিলে আমাকে ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া তৃণমূলের ব্লক সভাপতিও করা হবে। আমি প্রতিবাদ জানাই। ওরপর আইসি জানান, খোদ তৃণমূলের এক সাংসদ এই প্রস্তাব দিয়েছেন।” তাঁর ক্ষোভ, বিরোধী বিধায়কদের তৃণমূল বাজারের আলু, পটল ভাবতে শুরু করেছে। পুলিশকে মাঠে নামানো হয়েছে বিরোধীদের দলে টানতে।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক বলেন, “প্রশাসনকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করার ছক কষেছে তৃণমূল। আমরা এ সব বরদাস্ত করব না। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা। তাঁর বক্তব্য, “এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ। এর বেশি কিছু বলার নেই।” বাঁকুড়ার জেলা সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, “রাজ্যের বিলুপ্তপ্রায় দল সিপিএম এই সব মনগড়া অভিযোগ তুলে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের শেষ চেষ্টা করছে। বড়জোড়ার বিধায়ক নিজেই চাইছেন উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে আসতে। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে এখনও ডাক না পেয়ে হতাশ হয়ে এই সব অভিযোগ তুলছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন