প্রতীকী ছবি।
রামপুরহাট মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক কার্যালয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের মধ্যে রামপুরহাট মহকুমার ১৮টি আসনের মনোনয়ন পর্ব চলছে এখানে। তা শান্তিপূর্ণ করতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি আছে। তার পরেও প্রশাসনিক ভবন চত্বরে শতাধিক তৃণমূল কর্মী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে বিরোধীরা আগেই অভিযোগ করেছে। মনোনয়ন শুরুর প্রথম দিন এসইউসি-এর জেলা কমিটির সদস্য আয়েষা খাতুন শাসকদলের বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন। এর পরেও তৃণমূল কর্মীরা জোটবদ্ধ ভাবে প্রশাসনিক ভবন ঢোকার মুখে জমায়েত করে রেখেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।
সিপিএমের জেলা পরিষদের সদস্য খাইরুল ইসলামের অভিযোগ, ‘‘এসডিও অফিসে তৃণমূল কর্মীরা এমন ভাবে ঘিরে রেখেছে যে, কোনও সাধারণ কাজে আসা মানুষকেও যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। গাড়ির লাইসেন্স বের করার কাজে আসা লোকজনকেও তৃণমূল কর্মীরা চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে।’’ বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, প্রশাসনিক ভবনে গাড়ি রাখার জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের জন্য বিরিয়ানি বিলি চলছে। প্যাকেট কম পড়ে যাওয়ায় কর্মীদের মধ্যে এক সময় অসন্তোষও সৃষ্টি হয়। ফেলে দেওয়া বিরিয়ানির প্যাকেট পুরসভার ঝাড়ুদারদের পরিষ্কার করতেও দেখা যায়।
বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার জন্য তৃণমূল কর্মীদের উপস্থিতি পুলিশ, প্রশাসন দেখেও দেখছে না বলে বিরোধীদের অভিযোগ। বিরোধী-শূন্য জেলা পরিষদ গড়তে তৃণমূল এই পদ্ধতি নিয়েছে বলে বিরোধীদের দাবি। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বুধবার পর্যন্ত রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে রামপুরহাট মহকুমায় জেলা পরিষদের ১৮টি আসনের মধ্যে পাঁচটি মনোনয়ন জমা পড়েছে। সব ক’টি তৃণমূলের। বুধবার রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির ২টি জেলা পরিষদের আসনে মনোনয়ন জমা করেন তৃণমূলের প্রতীপ সরকার এবং মান্নার শা। এ ছাড়া ময়ূরেশ্বর ২ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে বন্দনা সাহা মনোনয়ন দাখিল করেন। মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে আমিনা বেগম মনোনয়ন জমা দেন। মঙ্গলবার মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে নাজিরা বেগম মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। এই নিয়ে মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির জেলা পরিষদের তিনটি আসনের মধ্যে দু’টি আসনে তৃণমূল মনোনয়ন জমা করল।