ডালশস্যের চাষ নিয়ে প্রশিক্ষণ বিশ্বভারতীতে

বিশ্বভারতীর পল্লি শিক্ষা ভবনের কমিউনিটি হলে বীরভূম জেলায় ডালশস্যের বীজ উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে এক দিনের কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হয়ে গেল সোমবার। ইলামবাজার, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, লাভপুর, বোলপুর-শ্রীনিকেতন, মুরারই ১, রামপুরহাট ২ এবং নলহাটি ব্লকের জনাপঞ্চাশেক কৃষক প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৮ ০০:৪৮
Share:

প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। নিজস্ব চিত্র

বিশ্বভারতীর পল্লি শিক্ষা ভবনের কমিউনিটি হলে বীরভূম জেলায় ডালশস্যের বীজ উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে এক দিনের কৃষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হয়ে গেল সোমবার। ইলামবাজার, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, লাভপুর, বোলপুর-শ্রীনিকেতন, মুরারই ১, রামপুরহাট ২ এবং নলহাটি ব্লকের জনাপঞ্চাশেক কৃষক প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেন।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ইকার্ডা (ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইন দি ড্রাই এরিয়াস) এবং বিশ্বভারতীর একটি যৌথ প্রকল্প চলছে। সেই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে এক দিকে ডালশস্যের উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, অন্য দিকে কৃষকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সুস্থিত কৃষি ব্যবস্থা স্থাপনের প্রচেষ্টা চলছে। আমন ধান ওঠার পরে যে সব জমি জলসেচের অভাবে পতিত হয়ে থাকে, সেখানেই ডালশস্য যেমন মসুরি, খেসারি, ছোলা, কলাই, মুগের চাষ করার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এর ফলে এক দিকে যেমন একফসলি জমিকে দু’ফসলি জমিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব হবে, অন্য দিকে পরবর্তী ফসলের জন্য মাটির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন আধিকারিকেরা।

কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পের রূপায়ণে ২০১৬ সালে ইলামবাজার, বোলপুর-শ্রীনিকেতন এবং সাঁইথিয়া ব্লকের ৩০০ বিঘা জমিতে আমন ধান তোলার পরে ডালশস্যের চাষ করে বিশ্বভারতী। ২০১৭ সালে মোট ১ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে ডালশস্যের চাষ হয়ে শস্যের উৎপাদন হয়েছে। প্রকল্প তত্ত্বাবধায়ক তথা শস্য উৎপাদন বিভাগের প্রধান

Advertisement

অরুণ কুমার বারিক জানান, এ বারে প্রায় ১ হাজার ৯০০ বিঘা জমি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। তার আগেই কৃষকদের সব রকম ভাবে প্রশিক্ষিত করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এ দিন উন্নত পদ্ধতিতে ডাল শস্যের চাষ সম্বন্ধে, রাসায়নিক কিংবা কীটনাশক

ব্যবহারের প্রয়োগ সম্পর্কে, ডালে রোগপোকার আক্রমণ সম্বন্ধে কৃষকদের জানান পিওআরএস বহরমপুরের যুগ্ম নির্দেশক সুদীপ সরকার, প্ল্যান্ট ব্রিডার তাপসকুমার বিশ্বাস এবং সিউড়ির এডিএ সুখেন্দুবিকাশ সাহা।

লাভপুর ব্লকের কাশিয়ারা গ্রামের কৃষক সুভাষ পাল বলেন, ‘‘অনেক সময় জমি ফাঁকা হয়ে পড়ে থাকত। এ বার অন্তত চাষ করতে পারব।’’ ঘুরিষা গ্রামের মনিজা বেগম, পদুমা গ্রামের শ্রাবণী দাসেরাও উপকৃত হয়েছেন এই প্রশিক্ষণ শিবির থেকে। কৃষকদের কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় ডালশস্যের চাষ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যের একটি বই দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন