গ্রামোন্নয়নেও নামতে চলেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী

এ দিন পুরুলিয়া রবীন্দ্রভবনে আনন্দধারা প্রকল্পে গ্রাম সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার লক্ষে সঙ্ঘ নেত্রীদের এক দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে হয়েছিল। জেলাশাসক শিবিরে উপস্থিত সঙ্ঘনেত্রী ও সঙ্ঘের সদস্যদের জানান, রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বার গ্রামোন্নয়নের কাজেও তাঁদের যুক্ত করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৩০
Share:

বার্তা: পুরুলিয়া রবীন্দ্র ভবনে জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র

গ্রামোন্নয়নের কাজেও এ বার স্বনির্ভর দলের মহিলাদের যুক্ত করছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। শনিবার আনন্দধারা প্রকল্পের এক প্রশিক্ষণ শিবিরে পুরুলিয়ার ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্বনির্ভর দলের সঙ্ঘ নেত্রীদের এ কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়।

Advertisement

এ দিন পুরুলিয়া রবীন্দ্রভবনে আনন্দধারা প্রকল্পে গ্রাম সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতার লক্ষে সঙ্ঘ নেত্রীদের এক দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে হয়েছিল। জেলাশাসক শিবিরে উপস্থিত সঙ্ঘনেত্রী ও সঙ্ঘের সদস্যদের জানান, রাজ্য গ্রামোন্নয়ন দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ বার গ্রামোন্নয়নের কাজেও তাঁদের যুক্ত করা হবে। আগামী ২১-৩০ অক্টোবর জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়নের রূপরেখা তৈরির জন্য নানা কর্মসূচি নেওয়া হবে। এই কর্মসূচির নামকরণ করা হয়েছে ‘গ্রাম সমৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা অভিযান’। প্রতিটি বিডিও-র নেতৃত্বে এই কর্মসূচি হবে। কমিউনিটি সার্ভিস প্রোভাইডার এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যেরা সেই কর্মসূচিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

জেলাশাসক জানান, পুরুলিয়া জেলায় ২৭ হাজার স্বনির্ভর দল রয়েছে। প্রতি দলে ন্যূনতম ১০ জন করে সদস্য থাকায় মোট সদস্যের সংখ্যা দু’লক্ষ ৭০ হাজার। অর্থাত দু’লক্ষ ৭০ হাজার পরিবার। জেলায় মোট পরিবারের সংখ্যা প্রায় ছ’লক্ষ ১১ হাজার। তার মধ্যে একটা বড় অংশ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। স্বচ্ছতা অভিযানের ক্ষেত্রে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘জেলায় বর্তমানে ৪৮ শতাংশ পরিবারে শৌচালয় রয়েছে। স্বনির্ভর দলের সদস্যদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশের বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে। এখনও ৪০ শতাংশ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পরিবারে শৌচালয় নেই।’’ ওই পরিবারগুলিতে শৌচালয় গড়া গেলে সামগ্রিক ভাবে জেলায় নির্মল বাংলার কাজ অনেকখানি এগিয়ে যাবে বলে প্রশাসনের আধিকারিকদের মত।

Advertisement

এ ছাড়া অন্যান্য সরকারি প্রকল্পেও ওই মহিলাদের অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। জেলাশাসক জানান, ২১-৩০ অক্টোবরের কর্মসূচি হিসেবে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় গিয়ে সেখানকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের প্রকল্পগুলি নিয়ে ওয়াকিবহাল করা হবে। এলাকার স্বচ্ছতার হালহকিকত বিশেষ একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে (অ্যাপ) তোলা হবে।

পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘‘স্বনির্ভরতার আন্দোলন গ্রামাঞ্চলের মহিলাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তাঁরা এখন অনেক কাজ করতে পারেন। এলাকার উন্নয়নের কাজে তাঁরা বড় ভূমিকা নিতে পারবেন।’’

অনুষ্ঠানে অনগ্রসর শ্রেণি কন্যাণ রাষ্ট্র মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো, জেলা গ্রামোন্নয়ন শাখার প্রকল্প অধিকর্তা সুভাষচন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন