উদ্বোধনের পর থেকেই বন্ধ বোলপুরে ট্রাফিক সিগন্যাল। নিজস্ব চিত্র
ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছিল। কিন্তু, প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পর্যাপ্ত ট্রাফিকের অভাবে এখনও চালুই হয়নি বোলপুরের স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যালিং পরিষেবা।
গত বছরের অক্টোবর মাসে শহরের লজের মোড়, চিত্রা মোড় ও চৌরাস্তায় আধুনিক মানের ট্রাফিক সিগন্যালের সমস্ত রকম পরিকাঠামো তৈরি করা হয়। এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। কিন্তু, উদ্বোধনের পরের দিন থেকেই বন্ধ এই পরিষেবা। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণের যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই সিগন্যাল বসানো হয়েছিল, সেই সমস্যা একই ভাবেই রয়ে গিয়েছে। প্রতি দিন একই ভাবে যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে শহরবাসীকে।
গত ২২ মে বোলপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে কড়া ভাষায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পুলিশ, প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, এই বৈঠকে বোলপুর শহরের স্টেশন রোডে যানজট সমস্যার প্রসঙ্গও তুলেছিল বোলপুর ব্যাবসায়ী সমিতি। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে যানজট নিয়ন্ত্রণের পর্যাপ্ত পরিকাঠামো বোলপুর শহরে থাকা সত্ত্বেও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রকের অভাবে বন্ধ পড়ে রয়েছে সিগন্যালিং পরিষেবা।
যানজটের যা অন্যতম কারণ। নিজস্ব চিত্র
বোলপুর স্টেশনে ট্রেন ঢুকলেই দেখা যায় যানজটের চেনা ছবি। কাতারে কাতারে টোটো, রিকশা, গাড়ি, মোটরবাইকের জটে অবরুদ্ধ হয়ে যায় শহরের অন্যতম শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন রোড দুটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ট্রাফিক সিগন্যালগুলি চালু হলে যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু, কোথায় কী!
তবে যানজটের জন্যে দায়ী স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ট্রাফিক নিয়ম-কানুন নিয়ে উদাসীনতাও। এর সঙ্গে রয়েছে বোলপুরের সাবেক কালের অপরিসর রাস্তা-ঘাট। পরিকল্পনাহীন ভাবে শহর বেড়েছে, রাস্তা বাড়েনি। গোটা শহরে সরকারি উদ্যোগে গাড়ি পার্ক করার কোনও নির্দিষ্ট স্থান নেই। ফলে রাস্তার ধারে দোকানের সামনে গ্রাহকদের ইতস্তত রাখা সাইকেল, রিকশা, মোটরবাইক এমনকী চার চাকা গাড়ি পর্যন্ত অবৈধ ভাবে পার্ক করা থাকে। কোথাও ফুটপাতেও তৈরি হয়েছে দোকান। শহরের বেশির ভাগ প্রধান রাস্তার ওপরই রোজ দোকান খুলে বসেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
বোলপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত বলেন, ‘‘পুলিশের লোকজনের অভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ট্রাফিক সিগন্যালগুলি। আমরা অবিলম্বে তা চালু করার আর্জি জানিয়েছি।’’