truck

Truck Owners: বন্ধ পাথর খাদান ও ক্রাশার দুশ্চিন্তায় ট্রাক মালিকেরা

এখান থেকে পাথর বোঝাই করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হত। এর ফলে যেমন ট্রাক মালিকরা মুনাফা করতে শুরু করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২২ ০৯:৫৮
Share:

মুরারইয়ে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ট্রাক। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।

অবৈধ পাথর শিল্পাঞ্চল নিয়ে প্রশাসন কড়া হতেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন নলহাটি – মুরারই এলাকার ট্রাক মালিকরা। ব্যাঙ্ক ঋণ করে অনেকেই ট্রাক কিনে পাথর শিল্পাঞ্চলের রমরমা অবস্থা দেখে। এখান থেকে পাথর বোঝাই করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাওয়া হত। এর ফলে যেমন ট্রাক মালিকরা মুনাফা করতে শুরু করেছিলেন।

Advertisement

ট্রাক মালিকদের একাংশের বক্তব্য, অবৈধ খাদান ও ক্রাশার বন্ধের নোটিস হঠাৎ করে না দিয়ে কয়েক মাস আগে থেকে ক্রাশার ও খাদান মালিকদের কাগজপত্র ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করলে এই ভাবে একসঙ্গে মুরারই ও নলহাটির সমস্ত খাদান ও ক্রাশার বন্ধ হত না। অধিকাংশ ট্রাক মালিকের ঋণের মাসিক কিস্তি পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ পর্যন্ত আছে। ট্রাক চালিয়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হত বলে অনেকেই জানিয়েছেন। ট্রাক বিক্রি করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় সোনা ও জমি বিক্রি করে লোনের টাকা পরিশোধ করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই বলে আশঙ্কা অনেকের।

রাজগ্রামের ট্রাক মালিক ইসমাইল শেখ বলেন, ‘‘৩৫টি ট্রাক ছিল আমার। লকডাউনে ২০টি ট্রাক বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলাম। ১৫টি ট্রাক আছে এখন। ক্রাশার ও খাদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জমি বিক্রি করেও লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারব না। চিন্তায় খাওয়া, ঘুম সব বন্ধ। কিস্তির টাকা না দিতে পারলে ব্যাঙ্ক থেকে ট্রাক টেনে নিয়ে যাবে। তারপরেও মামলা হবে। পরিবহণের ব্যবসা করে সব শেষ হয়ে গেল। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, বৈধ অনুমতি তাড়াতাড়ি দিয়ে আবারও পাথর খাদান ও ক্রাশার চালু করা হোক।’’ নলহাটির ট্রাক মালিক মনিরুল শেখ বলেন, ‘‘১৬ চাকার ট্রাক কিনেছিলাম। মাসে ৯০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হয়। এতদিন ট্রাক চালিয়ে সেই টাকা উঠে যেত। জেলায় কোনও শিল্প নেই যে বিকল্প জায়গায় ট্রাক ভাড়া দেব। এখন মনে হচ্ছে, ট্রাক কিনে ভুল করেছি। কী করব ভেবে উঠতে পারছি না।’’

Advertisement

এই বিষয়ে মুরারইয়ের বিধায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘‘অবৈধ খাদান ও ক্রাশার বন্ধের জন্য প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে। খাদান ও ক্রাশার মালিকদের সঙ্গে দ্রুত বৈঠক করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির জন্য অনুরোধ করব। কাগজপত্র নিয়ম মেনে ঠিক থাকলে সমস্যার সমাধান হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন