সিউড়িতে দুষ্কৃতী-হানা, জখম ২

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে দুই ভাইকে বেধড়ক মারধর করে ৬ দুষ্কৃতী। মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুঠ করে চম্পট দেয় ডাকাতদল। তবে ডাকাতিই মূল উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা নিয়ে তদন্তকারীদের একাংশের সংশয় রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৩৫
Share:

আহত সুশান্ত হালদার। সিউড়ির নতুনপল্লিতে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

বাড়িতে ডাকাত পড়েছে— আত্মীয়ার এমন ফোন পেয়ে মাঝ রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম হয়েছিলেন বাবা ও ছেলে। দিনকয়েক আগে সিউড়ির সাজানোপল্লির সেই ঘটনা এখনও টাটকা। তার মধ্যেই বুধবার গভীর রাতে একই রকম ঘটনা ঘটল সিউড়ি শহর লাগোয়া তিলপাড়া পঞ্চায়েতের নতুনপল্লিতে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে দুই ভাইকে বেধড়ক মারধর করে ৬ দুষ্কৃতী। মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুঠ করে চম্পট দেয় ডাকাতদল। তবে ডাকাতিই মূল উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা নিয়ে তদন্তকারীদের একাংশের সংশয় রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ডাকাতদের মারধরে নিমাই হালদার ও শান্তনু হালদার জখম হলেও, তাঁদের বাড়ি থেকে কোনও কিছুই লুঠ করেনি দুষ্কৃতীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমাইবাবু ডিএম অফিসের কর্মী। তাঁর ভাই শান্তনু কাজ করেন একটি হোটেলে। দুষ্কৃতীদের মারধরে মাথা ফেটেছে শান্তনুবাবুর। তাঁর দাবি, গত রাতে ১০-১২ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে। অনেকের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘দাদাকে মারধর করতে শুরু করে ওরা। বাধা গিতে গিয়ে রডের ঘায়ে আমার মাথা ফাটে। ২০-২৫ ধরে তাণ্ডব চালায় ডাকাতরা। আমাদের চিৎকারে পড়শিদের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল। আমার ভাগ্নে জয়ন্ত রায় ঘরে ঢুকতেই দুষ্কৃতীরা ওর মোবাইল ফোন কেড়ে নে। নগদ কিছু টাকাও নিয়ে যায়।’’ তবে কী দু’জনকে মারধর করতেই দুষ্কৃতীরা এসেছিল— প্রাথমিক তদন্তে তেমনই অনুমান করা হচ্ছে। এমন কথা বলছেন শান্তনুবাবুও। কিন্তু কেন এমন হল, তার উত্তর মেলেনি। কারও সঙ্গে শত্রুতা ছিল কি না, তা জখম যুবকের কথায় স্পষ্ট হয়নি। সব দিকই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে দুষ্কৃতী-তাণ্ডবের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement