বাঁকুড়ায় চালু হচ্ছে বৈদ্যুতিক দু’টি চুল্লি

দেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লির দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন বাঁকুড়া শহরবাসী। এ বার সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। বাঁকুড়া পুরসভা জানাচ্ছে, শনিবার লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানে ওই বৈদ্যুতিন চুল্লি উদ্বোধন হচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৭ ০১:১৯
Share:

লক্ষ্যতড়া শ্মশানে। নিজস্ব চিত্র

দেহ সৎকারের জন্য শ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লির দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন বাঁকুড়া শহরবাসী। এ বার সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে। বাঁকুড়া পুরসভা জানাচ্ছে, শনিবার লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানে ওই বৈদ্যুতিন চুল্লি উদ্বোধন হচ্ছে।

Advertisement

বাঁকুড়া শহরে দিনদিন জনবসতি বেড়ে চললেও এতদিন এই জেলাসদরে কাঠেই দেহ সৎকার করা হতো। বাসিন্দাদের তাই দীর্ঘদিন ধরেই দাবি ছিল, বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হোক। তাতে সৎকার যেমন দ্রুত হবে, তেমনই দেহ দাহর করার ধোঁয়া থেকেও পরিবেশ বাঁচবে।

রাজ্য পুর দফতর বাঁকুড়াবাসীর ইচ্ছাপূরণ করে লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিন চুল্লি বসানোর জন্য টাকা দেয়। বছর তিনেক আগে সে কাজ শুরুও হয়। কিন্তু কাজ শেষ করে তা চালু করতে দেরি হওয়ায় ক্ষোভ ছড়াচ্ছিল। এ বার অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে। বাঁকুড়ার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, “বৈদ্যুতিন চুল্লি তৈরির কাজ শেষ। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাতে শনিবার চুল্লির উদ্বোধন হবে।’’

Advertisement

পুরপ্রধান জানান, প্রায় দু’কোটি টাকা ব্যয়ে লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশানে দু’টি চুল্লি তৈরি হয়েছে। কমবেশি আধঘণ্টার মধ্যেই দাহকার্য শেষ করা যাবে চুল্লিতে। তবে বৈদ্যুতিন চুল্লি পরিচালনার দায়িত্ব পুরসভা নিজের হাতে রাখবে না কোনও এজেন্সিকে সেই দায়িত্ব দেবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। মহাপ্রসাদবাবু জানান, পুরসভার বোর্ড মিটিং-এ এ নিয়ে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

লক্ষ্যাতড়া মহাশ্মশান কমিটির সম্পাদক দেবদাস দাস বলেন, “আজকাল মানুষের হাতে সময় কম। বৈদ্যুতিক চুল্লি চালু হলে উপকার হবে।” বাঁকুড়ার বিধায়ক তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান শম্পা দরিপা বলেন, “বাঁকুড়া শহরও আধুনিকতার দিকে একধাপ এগোল।’’

বৈদ্যুতিক চুল্লি উদ্বোধন করার পাশাপাশি বাঁকুড়া সফরে এসে আরও বেশ কিছু প্রকল্প চালু করতে চলেছেন পুরমন্ত্রী। মহাপ্রসাদবাবু জানান, পুরসভার তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দু’টিই চলে ভাড়াবাড়িতে ও একটি পুরভবনে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে আউটডোর পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি প্যাথোলজিও চালু রয়েছে। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির নিজস্ব ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন মন্ত্রী। যার মধ্যে একটি ইদগামহল্লার বাঁশতলায়, একটি কেঠারডাঙা এলাকার পাতাকোলা ও আরেকটি পদ্মারপুকুর এলাকায় গড়া হচ্ছে।

এ ছাড়াও ভবঘুরেদের জন্য আশ্রয়স্থল গড়ার প্রকল্প নিয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা। এ জন্য পুরসভা সংলগ্ন সব্জি বাজার এলাকায় একটি তিনতলা ভবন গড়া হচ্ছে। একসঙ্গে ৫০ জন ব্যক্তি সেখানে থাকতে পারবেন। ওই ভবনেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন মন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন