এক নম্বর বেশি পেয়ে বন্ধু সপ্তম

বীরভূম জেলাস্কুলের ছাত্র যীশুর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। মেধা তালিকায় সে সপ্তম। তার থেকে এক নম্বর কম, অর্থাৎ ৬৮৩ পেয়ে সম্ভাব্য অষ্টম একই স্কুলের সৌম্যদীপ। সাফল্যে খুশি জেলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ইয়ার আলি।

Advertisement

দয়াল সেনগুপ্ত

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ০১:০১
Share:

সাফল্য: যীশু ও সৌম্যদীপ। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক স্কুলের দুটি আলাদা সেকশনে পড়লে কী হবে। দুই মেধাবী পড়ুয়ার মধ্যে যেমন বন্ধুত্ব ছিল, তেমন ছিল সুস্থ প্রতিযোগিতাও। মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় স্থান পেয়ে বন্ধুত্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতাও ধরে রাখল যীশু পাল এবং সৌম্যদীপ চক্রবর্তীরা।

Advertisement

বীরভূম জেলাস্কুলের ছাত্র যীশুর প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। মেধা তালিকায় সে সপ্তম। তার থেকে এক নম্বর কম, অর্থাৎ ৬৮৩ পেয়ে সম্ভাব্য অষ্টম একই স্কুলের সৌম্যদীপ। সাফল্যে খুশি জেলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ ইয়ার আলি।

যীশুদের বাড়ি সিউড়ির অরবিন্দপল্লিতে। সৌম্যদীপদের বাড়ি বিবেকানন্দপল্লি। ছোট থেকেই দুই বন্ধু সিউড়িতে জেলা স্কুলে পড়ে। যীশুর বাবা ভবতারণ পাল ও মা মিতা পাল ঘোষ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। সৌমদীপের বাবা সুমন্ত চক্রবর্তীও স্কুল শিক্ষক। মা দত্তাদেবী গৃহবধূ।

Advertisement

খুশি দুই বন্ধুও। স্কুলের পরীক্ষায় এত দিন এগিয়েছিল সৌম্যদীপ। মাধ্যমিকে এক নম্বরের জন্য বন্ধু এ বার এগিয়ে গিয়েছে বলে মন খরাপ নেই। দু’জনই দু’জনকে সমীহ করে বলেছে, ‘‘ও খুব ভাল।’’ মিল রয়েছে পছন্দেও। সৌম্য গান শেখে। গান ভালবাসে যীশুও। তবে সৌম্যর ইচ্ছে প্রশাসক হওয়ার। যীশু চায় শিক্ষক হতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন