খরগোশের প্রাণ বাঁচালেন ঝালদার দুই যুবক

ঝালদা শহরের কুমারকুলির যুবক সোনা মুখোপাধ্যায় এবং গোকুলনগরের বাসিন্দা অজিত লোহার বুধবার বিকেলে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। সত্যমেলা এলাকায় পৌঁছে তাঁরা দেখেন, রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে এক খরগোশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৭:১০
Share:

উদ্ধার হওয়া সেই খরগোশ। নিজস্ব চিত্র

দুই যুবকের চেষ্টায় প্রাণে বাঁচল জখম একটি খরগোশ। তাঁদেরই চেষ্টায় ঝালদার সত্যমেলা এলাকায় উদ্ধার হওয়া আহত ওই খরগোশের ঠাঁই হয়েছে সুরুলিয়া ‘মিনি জু’-তে।

Advertisement

ঝালদা শহরের কুমারকুলির যুবক সোনা মুখোপাধ্যায় এবং গোকুলনগরের বাসিন্দা অজিত লোহার বুধবার বিকেলে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন। সত্যমেলা এলাকায় পৌঁছে তাঁরা দেখেন, রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে এক খরগোশ। তার একটি পায়ে ক্ষত। বেশ ফুলে রয়েছে কোমরের অংশ। উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা নেই। রাস্তা পেরবার সময় গাড়ি বা ভারী কোনও বস্তুর আঘাতে খরগোশটি জখম হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

খরগোশটিকে দুই যুবক বাড়ি নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার অজিত বলেন, ‘‘ভেবেছিলাম সুস্থ করে জঙ্গলে ছেড়ে দেব খরগোশটিকে। আমরা ওর শুশ্রুষা শুরু করেছিলাম।’’ কিন্তু খরগোশটির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় তাকে বন দফতরের কাছে নিয়ে যায় দুই যুবক।

Advertisement

অজিত বলেন, ‘‘আশা করেছিলাম বাড়িতে শুশ্রুষা করেই ওকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব। কিন্তু ওর অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। আমাদের পক্ষে ওর চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বুঝেই খরগোশটিকে নিয়ে আমরা বন দফতরের কার্যালয়ে গিয়েছিলাম।’’

বন দফতরের আধিকারিকদের কাছে খরগোশটির চিকিৎসা করার আর্জি জানান তাঁরা।

ঝালদা বন দফতরের আধিকারিক অমিয়বিকাশ পাল বলেন, ‘‘খরগোশটির শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা ওকে সুরুলিয়া মিনি জু-তে পাঠিয়ে দিয়েছি। সেখানেই ওর চিকিৎসা হবে।’’

খরগোশটির প্রাণ বাঁচানোর জন্য অজিত এবং সোনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অমিয়বিকাশ। তাঁর দাবি, ‘‘বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ নিয়ে লাগাতার প্রচারের ফলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। এই ঘটনা তার-ই প্রতিফলন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement