নাকাল: নোটিস ঝুলছে হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
জেলা হাসপাতাল ঘোষিত হয়েছে পাঁচ বছর আগে। পরে চালু হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। একই হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে রুপান্তরের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ এবং পুরাতন ভবন সংস্কারের কাজ চলছে। সেই রামপুরহাট হাসপাতালে দু’মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে সবেধন ইউএসজিমেশিনটি। ফলে, দু’মাস ধরেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা। রামপুরহাট হাসপাতালের সুপার সুবোধ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘পুরানো যে যন্ত্রটি মাস দু’য়েক থেকে খারাপ হয়ে রয়েছে সেটি মেরামত করার জন্য স্বাস্থ্যভবন থেকে টাকা অনুমোদন হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর যন্ত্রটি মেরামত করার জন্য টেকনিশিয়ানরা আসবেন।’’
বাম আমলে ২০০৭ সালে তৎকালীন সাংসদ রামচন্দ্র ডোমের এলাকা উন্নয়ন খাতে দেওয়া টাকায় রামপুরহাট হাসপাতালে ইউএসজিমেশিনই ছিল ভরসা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেশিনের ‘প্রোব’ নামে যন্ত্রাংশ যা দিয়ে ছবি উঠে সেই যন্ত্রাংশটি গত অগষ্ট মাসের ৭ তারিখ থেকে খারাপ হয়েছে। যা মেরামত খরচ প্রায় ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। আবার নতুন যন্ত্রের দাম প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা। সে মেশিন দু’মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে হয়রানি বাড়ছে রোগী ও তাঁদের পরিজনদের। এদিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্য নতুন একটি ইউএসজি যন্ত্র মাস দু’য়েক হল স্বাস্থ্যভবন থেকে এসে পড়ে রয়েছে। সেই যন্ত্র চিকিৎসক এবং পরিকাঠামো গত ত্রুটি থাকার জন্য চালু করা যায়নি। মাস দু’য়েক আগে ইনস্টল হওয়া নতুন যন্ত্র এখনও চালু কেন করা হয়নি কেন?
সুপার জানান, নতুন ইউএসজি যন্ত্রটি চালু করার ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। তিনি বলেন, ‘‘এজেন্সি এখনও যন্ত্রটি চালু করার ব্যাপারে চার্জ বুঝিয়ে দেয়নি। আবার ওই যন্ত্র চালু রাখলে আরও চিকিৎসক দরকার।
বর্তমানে দু’জন রেডিওলজিষ্ট আছে। তাঁরা পুরাতন যন্ত্রটিতে কাজ করেন। সেই কারণে সম্প্রতি রোগী কল্যাণ সমিতির মিটিং-এ পুরাতন যন্ত্রটি ঠিক করে কাজ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দু’ মাস ধরে যন্ত্র বিকল হয়ে থাকার জন্য দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা হয়রান হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাইরে ইউএসজি করিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। যন্ত্র খারাপ থাকার জন্য সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন গর্ভবতী মহিলারা।
রহিদা খাতুন নামে মাড়গ্রাম থানার দুনিগ্রাম থেকে আসা এক রোগী বললেন, ‘‘পেটে ব্যথা। হাসপাতালের চিকিৎসক বলেছেন ইউএসজি করতে। কিন্তু যন্ত্র খারাপ থাকার জন্য দিন পনের থেকে ঘুরছি। হাসপাতালের বাইরে করলে ৮০০ টাকা খরচ। হাতে পয়সা না থাকার জন্য সেটাও করতে পারছি না।’’