প্রতিবন্ধী চিনতে ‘উত্তরণ’

তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যার একটা বড় অংশের মানুষের শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কথা। নানা দু্র্ঘটনা বা অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিক ভাবে জন্মানোর পরেও অনেকে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন সচেতনতার অভাবে প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আড়ালেই থেকে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪৭
Share:

তথ্য অনুযায়ী জনসংখ্যার একটা বড় অংশের মানুষের শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কথা। নানা দু্র্ঘটনা বা অসুস্থতার কারণে স্বাভাবিক ভাবে জন্মানোর পরেও অনেকে প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন সচেতনতার অভাবে প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আড়ালেই থেকে যান। শংসাপত্র ও কার্ড না থাকায় প্রাপ্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন।

Advertisement

সেই সমস্যা মেটাতে জেলায় প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পেতে সমীক্ষার কাজ শুরু হল সরকারি উদ্যোগে। জেলা সমাজকল্যাণ দফতর এবং সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প দফতরের যৌথ উদ্যোগে গত ২৬ মার্চ থেকে ওই সমীক্ষার কাজ করছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। এই সরকারি কর্মসূচির নাম ‘উত্তরণ’।

কত জন প্রতিবন্ধী রয়েছেন জেলায়, তাঁরা শারীরিক না মানসিক, কী ধরণের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তাঁর, কত শতাংশ প্রতিবন্ধতা, পেশা কী, সরকারি সুযোগ সুবিধা, ভাতা পান কিনা, শংসাপত্র পেয়েছেন কিনা— এমন নানা খুঁটিনাটি তথ্য সংগৃহ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দু’টি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে একটি ‘ডেটাব্যাঙ্ক’ গড়ে তোলা হবে। আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, মার্চের গোড়ায় আসা সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী সমীক্ষা হচ্ছে।

Advertisement

জেলা সুসংহত শিশুবিকাশ প্রকল্প আধিকারিক অরিন্দম ভাদুড়ি বলেন, ‘‘জেলার মোট ৪৬২২ জন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে এ কাজে লাগানো হয়েছে। প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, এমন সকলের জন্য একটি করে ফর্ম পূরণ করে জমা দেবেন কর্মীরা। মে মাস থেকে চিহ্নিতদের ডেকে প্রতিটি পঞ্চায়েতে এলাকায় চিকিৎসকেরা ক্যাম্প করে শংসাপত্র দেবেন।’’ একই বক্তব্য জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক পাপিয়া চট্টোপাধ্যায়েরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন