প্রথম বার ভর্তি প্রক্রিয়া অন-লাইনে

আজ মেধা তালিকা প্রকাশ বিশ্বভারতীর

বিশ্বভারতীতে ভর্তির মেধাতালিকা সোমবার প্রকাশিত হবে। তালিকা প্রকাশ হবে সমস্ত বিভাগের স্নাতক স্তর (যে সব বিভাগে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য পরীক্ষা হয়েছে সেগুলি ছাড়া), বিএড, এমএড ও প্রি ডিগ্রিতে (একাদশ শ্রেণি) ভর্তির জন্য। গত ১৮ জুন বিশ্বভারতীতে ভর্তির আবেদনপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৮ ০০:৪৪
Share:

বিশ্বভারতীতে ভর্তির মেধাতালিকা সোমবার প্রকাশিত হবে। তালিকা প্রকাশ হবে সমস্ত বিভাগের স্নাতক স্তর (যে সব বিভাগে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য পরীক্ষা হয়েছে সেগুলি ছাড়া), বিএড, এমএড ও প্রি ডিগ্রিতে (একাদশ শ্রেণি) ভর্তির জন্য। গত ১৮ জুন বিশ্বভারতীতে ভর্তির আবেদনপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রকাশিত হচ্ছে মেধাতালিকা।

Advertisement

বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, এ বছর প্রথম বার ভর্তি প্রক্রিয়া ১০০ শতাংশ অনলাইনে হবে। তাই বিশ্বভারতীতে ভর্তির ক্ষেত্রে ‘কাউন্সেলিং’ এ বার থেকে বন্ধ। আগের বছর পর্যন্তও প্রতি বিভাগে যত আসন থাকত, তার তিন বা চার গুণ বেশি পড়ুয়া কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাক পেতেন। ভর্তির সুযোগ না পেয়ে অনেককে ফিরে যেতে হত। এ বছর আবেদনপত্র পূরণ থেকে শুরু করে ভর্তি প্রক্রিয়া পুরোটাই হয়েছে অনলাইনে। তাই দূরের পড়ুয়াদের সুবিধা হবে। অন্য দিকে ভর্তি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি নিয়েও বারবার প্রশ্ন উঠেছে। সেখানেও এ বারে স্বচ্ছতা আসবে বলেই মনে করছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

এই পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের মেধাতালিকা প্রকাশিত হবে। তৃতীয় ধাপে প্রকাশিত হবে এমফিল, পিএইচডি, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্সের তালিকা।

Advertisement

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে টাকা জমা দিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। মার্কশিট সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নথিপত্র পরীক্ষা করা হবে ৩০ জুন। ওই দিন ভর্তি হওয়া প্রত্যেক পড়ুয়াকে উপস্থিত থাকতে হবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে বা নথি পরীক্ষার সময় কোনও ভুল তথ্য ধরা পড়লে, সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে। ৩০ জুন প্রথম ধাপের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর কোনও বিষয়ে
আসন খালি থাকলে মেধাতালিকায় পরে নাম থাকা প্রার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।

বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই সেখানে চালু হচ্ছে ‘ম্যাসিভ ওপেন অনলাইন কোর্সেস’। এটি কেন্দ্রের ‘স্বয়ম’-এর একটি প্রকল্প। এ বছর আপাতত ‘এক্সট্রা ক্রেডিট কোর্স’ হিসেবে পড়ুয়ারা তার আওতাভুক্ত হতে পারবেন।

ভর্তির আবেদনপত্র দাখিলের সময় দেওয়া আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওয়েবসাইটে লগ-ইন করলে মেধাতালিকায় সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর ক্রমিক নম্বর দেখা যাবে। তিনি কোন কোন বিষয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন এবং কোন কোন বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন তা তালিকায় দেওয়া থাকবে। যে বিষয়গুলিতে ভর্তি হতে পারবেন তার মধ্যে একটি বিষয় পছন্দ করে নির্ধারিত টাকা দিয়ে অনলাইনে ভর্তি হতে হবে। এর পরে ‘প্রোভিশনাল অ্যাডমিশন স্লিপ’ এবং ‘ভেরিফিকেশন ফর্ম’ পাওয়া যাবে। ৩০ জুন অ্যাডমিশন সেলে সমস্ত নথির পরীক্ষা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে পড়ুয়াকে সে দিনই অ্যাডমিশন সেল থেকে একটি ‘কনফার্মেশন রিসিপ্ট’ দেওয়া হবে। তা হাতে পাওয়া মানেই কোনও পড়ুয়ার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হওয়া। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, ‘কনফার্মেশন রিসিপ্ট’-এ কবে থেকে পঠনপাঠন শুরুর তারিখ, অন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া থাকবে। ক্লাস শুরুর প্রথম সাত দিন টানা উপস্থিত থাকতে হবে, না হলেও ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।

সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, বিভাগের প্রধান সহ অন্য আধিকারিকদের নিয়ে রবিবার বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সভাকক্ষে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে এ সংক্রান্ত পদ্ধতি সম্পর্কে তাঁদের জানান যুগ্ম কর্মসচিব (শিক্ষা ও গবেষণা) সঞ্জয় ঘোষ। তিনি আরও জানান, সব স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া এক মাসের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেন বলেন, ‘‘এ বছরেই প্রথম ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইন হচ্ছে। সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা পাব আশা রাখছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন