শিল্পাঞ্চলে ভোট মেটার পর পাণ্ডবেশ্বর, দুর্গাপুর, সালানপুর, জামুড়িয়া-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। বর্ধমান গ্রামীণ এলাকাতেও অব্যাহত রয়েছে ভোট-পরবর্তী গোলমালের ঘটনা। ভোট মেটার পর শুক্রবারও মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের নালিশ করেছে শাসক ও বিরোধীরা।
শুক্রবার সকালে মঙ্গলকোটের সালন্দা গ্রামে তৃণমূল ও সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের মোট আট জন জখম হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দু’জন দলীয় সমর্থককে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, নোয়াপাড়ায় তাদের দলের দু’জনকে মারধর করে সিপিএম। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে মঙ্গলকোটের সিপিএম প্রার্থী শাজাহান চৌধুরীর পাল্টা দাবি, ‘‘এলাকায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে তৃণমূল।’’
আউশগ্রামের দিগনগরেও তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। বর্ধমানের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে দলের কর্মী, সমর্থকদের শাসক দল মারধর করেছে বলে অভিযোগ করে সিপিএম। ভোট মেটার পর থেকে লাগাতার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ সিপিএমের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পর তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বুদবুদের মানকরেও। অভিযোগের তির সিপিএমের দিকে। তৃণমূলের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে সিপিএমের লোকজন আচমকা হামলা চালায়। হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন বলেও তৃণমূলের দাবি। বুদবুদ থানায় কয়েকজন সিপিএম কর্মীর নামে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম।
ভোটের দিন গোলমাল পাকানোর অভিযোগে কেতুগ্রামে চার জনকে এবং মঙ্গলকোটের এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিন ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে সকলেরই ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কেতুগ্রামে বোমাবাজি, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে হাসিবুল শেখ, কৃষ্ণানন্দ ঘোষ, লাল্টু শেখ ও জগবন্ধু দাসকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলকোটের সিনুট গ্রামে বোমাবাজির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কুতুব শেখকে।