ছাত্র-যুব উৎসবে সেরা সাঁইথিয়ার ‘ওয়েক আপ’

সম্প্রতি শেষ হওয়া সাঁইথিয়া ছাত্র যুব উৎসবে ২৫টি বিষয়ের উপরের প্রতিযোগিতা হয়। তার মধ্যে নাট্য প্রতিযোগিতায় সেরা দল ‘ওয়েক আপ’ নাট্য সংস্থা। সেরা নাটক তাদের ‘বাসাংসি জির্নাণী।’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৫
Share:

‘কালো’ নাটকের একটি দৃশ্য। সাঁইথিয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

সম্প্রতি শেষ হওয়া সাঁইথিয়া ছাত্র যুব উৎসবে ২৫টি বিষয়ের উপরের প্রতিযোগিতা হয়। তার মধ্যে নাট্য প্রতিযোগিতায় সেরা দল ‘ওয়েক আপ’ নাট্য সংস্থা। সেরা নাটক তাদের ‘বাসাংসি জির্নাণী।’ সেরা অভিনেতা শুভজিৎ সিনহা। সেরা পরিচালক তীর্থজিৎ ঘোষ।

Advertisement

উৎসবে এ বার এলাকারই তিনটি নাট্যদল যোগ দিয়েছিল— ‘ওয়েক আপ’, ‘কাজ ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি’ ও ‘থিয়েটার অফ ড্রিমস্’। প্রতিযোগিতায় শুভজিৎ সিংহ রচিত তীর্থজিৎ ঘোষ পরিচালিত ‘বাসাংসি জির্নাণী’ নাটকটি প্রথমে করে ‘ওয়েক আপ’। পরে নীললোহিত নন্দী ও সুতনু দাস বৈরাগ্য রচিত ‘কালো’ নাটকটি করে ‘থিয়েটার অথ ড্রিমস্’ এবং টিঙ্কু নন্দী রচিত ও সৌভিক দত্ত পরিচালিত ‘এক রিক্সাওলার গল্প’ নাটকটি মঞ্চস্থ করে ‘কাজ ওয়েল ফেয়ার সোসাইটি’।

প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী নাটকের সর্বোচ্চ সময় সীমা ছিল মঞ্চ সজানোর জন্য ১০ মিনিট ও মঞ্চস্থ করার জন্য ৪৫ মিনিট। এবং রচনা, পরিচালনা থেকে অভিনেতা-সহ নাটকের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেরই বয়স ৪০ এর মধ্যে হতে হবে। এবং একটি দলে ১২ জনের বেশি অভিনেতা থাকা যাবে না। বিচারক ছিলেন নাট্য একাদেমির মলয় ঘোষ, ‘সায়ক’ নাট্য সংস্থার গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বিচারে প্রথম হয় ‘ওয়েক আপ’। ছিলেন রাজ্যের নাট্য জগতের বিশিষ্টরাও। সাধারণ দর্শকের সঙ্গে রবীন্দ্রভবনে নাটক দেখতে এসেছিলেন শহরের অন্য দলের নাট্য পরিচালক ও নাট্য কর্মীরাও।

Advertisement

প্রতিযোগিতার নাটক দেখতে এসেছিলেন স্থানীয় অমিত চট্টোপাধ্যায়, শিখা বন্দ্যোপাধ্যায়েরা। বললেন, ‘‘শহরের বিনোদনের জায়গা সে রকম ভাবে আর কই। অনুষ্ঠানই বা আর কটা হয়। তাই আজকের এই নাটক দেখার সুযোগটা ছাড়তে পারলাম না।’’ দর্শক আসনে ছিলেন অতনু বর্মন। তিনি বলেন, ‘‘নাটক দেখে এটাই বুঝলাম এই প্রজন্ম সাঁইথিয়ার নাটককে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে এসেছে।’’ অতনুবাবুর কথার সহমত প্রকাশ করলেন সাঁইথিয়ার আর একটি নাট্যদল ‘অ্যাম্পি থিয়েটার ওয়ালার’ নির্দেশক অনিন্দ্য আচার্য, ময়ূরেশ্বরের কুশুমী হাই স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক সুমন শঙ্কর বর্ধনও।

শুক্রবার দুপুরে পুরস্কার বিতরণী সভায় তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক নীলাবতী সাহা, পুরপিতা বিপ্লব দত্ত, যুব আধিকারিক প্রদ্যুৎ বিশ্বাস-সহ অনান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। প্রদ্যুৎবাবু বলেন, ‘‘জয়ী নাট্য দল জেলা স্তরের প্রতিযোগিতায় যোগ দেবে।’’ ‘ওয়েক আপে’র পক্ষে তীর্থজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘পুরস্কার পেয়ে ভাল লাগছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন