বাঁকুড়া শহরের পাটপুরে ফেটে যাওয়া পাইপ মেরামত চলছে। রবিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
পুরসভার জল সরবরাহের পাইপ ফেটে প্রায় ২৪ ঘণ্টা জল বন্ধ থাকল বাঁকুড়া শহরের একাংশে। পুর-শহরের ১ এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের দাবি, শনিবার সকালে এক বেলার জল পেয়েছিলেন। সেটাই শেষ। বিকেল থেকে ওই দু’টি ওয়ার্ডে আর সরবরাহের জল একেবারেই আসেনি। প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম জল আসায় ভোগান্তিতে প়ড়েন ৮, ৯, ১২, ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারাও। তবে রবিবার দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে পুরসভার দাবি।
দ্বারকেশ্বর নদের কানকাটা পাম্প হাউস থেকে শহরে জল সরবরাহ করা হয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মীনাপুর শ্মশান সংলগ্ন পাটপুর এলাকায় পাম্পহাউস থেকে শহরে আসা মূল পাইপটি ফেটে গিয়ে বিপত্তি বাধে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিন চারেক আগে থেকেই ওই এলাকায় পাইপ ফেটে জল বাইরে বেরিয়ে আসছিল। যার জেরে সরবরাহের জল খুবই কম পাচ্ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। শনিবার দুপুরে পাইপটি পুরোপুরি ফেটে গিয়ে জল পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়ে। পাইপে ফাটল ধরার পরেও পুরসভা উদ্যোগী না হওয়ায় এই ধরণের চূড়ান্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে পুরশহরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ।
শনিবার বিকেলের পরে টাইম কলে জল না পেয়ে হয়রান হল ওই ওয়ার্ডগুলির বাসিন্দারা। অনেকেই বালতি, কলসি নিয়ে জলের আশায় সময়ে সময়ে কলে খোঁজ নিতে যান। শেষ পর্যন্ত নাজেহাল হয়ে অন্য ওয়ার্ডে ছোটেন জল ধরতে। রবিবার সকালে শহরের ইদগাহ মহল্লার বাসিন্দা সেখ শাহিদ বিকেলে ভ্যানে বেশ কয়েকটি জল ভর্তি ড্রাম চাপিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “হঠাৎ টাইম কলে জল আসা বন্ধ হয়ে গেল। একটা পুরো দিন ধরে ভেবেছি, এই আসবে বুঝি। আজ সকালেও জল এল না। এ দিকে বাড়িতে এক ফোঁট জল নেই। বাধ্য হয়ে তাই ভ্যান নিয়ে বেরোতে হয়েছে।’’ বাঁকুড়া শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বধূ মনিকা দত্ত, রূপালি পাল, সোমা দাসেরা বলেন, “টাইম কলের উপরেই আমরা নির্ভর করে থাকি। আগাম কিছু জানা না থাকায় জল ধরে রাখতে পারিনি।’’
রবিবার বিকেলে অবশ্য কলে ফের জল এসেছে। পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, “পাইপ ফাটার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুরকর্মীরা মেরামতির কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন। রাতভর কাজ চলেছে। দুপুর থেকে সব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।’’