West Bengal Lockdown

পথে বেরিয়ে ঘোরাঘুরি, পুলিশের হাতিয়ার পথ-আল্পনা

চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাড়িতে থাকা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৩৬
Share:

নানুরের রাস্তায় করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য ছবি আঁকা চলছে। নিজস্ব চিত্র

করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে অভিনব পথ নিয়েছে বীরভূম জেলা পুলিশ। গানের পরে এ বার বোলপুর-শান্তিনিকেতন-সহ জেলার বিভিন্ন রাস্তায় ছবি আঁকার মধ্য দিয়ে করোনাবাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সচেনতার বার্তা দিতে দেখা গেল জেলা পুলিশকে।

Advertisement

চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাড়িতে থাকা। সে জন্যই দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে । জরুরি কাজ ছাড়া রাস্তায় না বেরোনোর এবং জমায়েত সৃষ্টি না করার জন্য আম জনতার কাছে আবেদন জানাচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন।

এর পরেও কিছু অসচেতন মানুষ সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন। বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা। যাতে পথে নেমে পথেই সচেতনতার বার্তা পান মানুষেরা তাই এই উদ্যোগ। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে গানের মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়। ওই দিন সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতায় শান্তিনিকেতন ও বোলপুর থানার উদ্যোগে শান্তিনিকেতন পোস্টঅফিস মোড় থেকে শুরু করে শ্যামবাটি মোড়, শ্রীনিকেতন চারমাথা মোড়, চৌরাস্তা-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে বিশ্বভারতীর কলাভবনের ছাত্র, প্রাক্তনী এবং শিল্পীদের দিয়ে করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি আঁকিয়ে সচেতনতার প্রচার চালানো হয়। তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সমাজকর্মী নুরুল হক ও নিবেদিতা লাহিড়ি। রামপুরহাট, নানুর, নলহাটি-সহ নানা জায়গায় রাস্তায় ছবি আঁকার কাজ চলছে।

Advertisement

এ দিনই নলহাটি থানার পুলিশের উদ্যোগে নলাটেশ্বরী মন্দির থেকে রাম মন্দির পর্যন্ত রাস্তায় আল্পনা আঁকা হয়েছে। অরবিন্দ সাউ নামে নলহাটি থানার এক পুলিশ কর্মী বলেন, ‘‘মানুষকে বোঝাতে লাঠি ছেড়ে তুলি হাতে নিতে হল। তাতে অন্তত যদি অবুঝেরা বোঝে! সরকার যেখানে গোটা দেশ অচল করতে বাধ্য হয়েছে সেখানে কি এভাবে পথেঘাটে আড্ডা দিয়ে বা মাঠে খেলা করার সময়? ছবি দেখে যদি বোঝে! তার চেষ্টা করেছি।’’ এ দিন বিকেলে মহম্মদবাজার বাসস্ট্যান্ডে পুলিশের উদ্যোগে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে আঁকা হয় করোনা-বিষয়ক ছবি। শিল্পী অর্ণিবাণ বড়ালের সঙ্গে তুলি ধরেন পুলিশকর্মীরাও। শিল্পীদের পক্ষ থেকে রশ্মী বাগচী সরকার বলেন, ‘‘মানুষকে সচেতন করতেই এই শিল্পকলা। জেলা পুলিশ সব দিক দিয়ে সহযোগিতা করছে।’’ জেলার এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘আশা করি এই উদ্যোগে মানুষ সচেতন হয়ে নিজেরা ভাল থাকবেন, অন্যকেও ভাল রাখবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন