বাড়ির খোঁজ এনে দিল হোয়াটসঅ্যাপ

কবিতা বেরার বাড়ি খুঁজে বের করা আর খড়ের গাদায় সূচ খোঁজা, প্রায়ই একই ব্যাপার ছিল। কিন্তু প্রযুক্তির দৌলতে এক দিনের মধ্যেই সেই কাজ হাসিল হয়ে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সং‌বাদদাতা

কেন্দা শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৭ ০২:০৭
Share:

কবিতা বেরার বাড়ি খুঁজে বের করা আর খড়ের গাদায় সূচ খোঁজা, প্রায়ই একই ব্যাপার ছিল। কিন্তু প্রযুক্তির দৌলতে এক দিনের মধ্যেই সেই কাজ হাসিল হয়ে গেল।

Advertisement

৭ মার্চ রাত তখন সাড়ে ১০টা। পুরুলিয়া-মানবাজার রাস্তায় দরোডি হাইস্কুলের সামনে কেন্দা থানার পুলিশের টহলদারি ভ্যান হঠাৎ ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। এক মহিলা একা ঘোরাঘুরি করছিলেন। কথা বলে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে থানায়। কেন্দা থানার ওসি শেখর মিত্র বলেন, ‘‘ওই মহিলা সবার সঙ্গে কথা বলছিলেন। কিন্তু মাঝে মধ্যেই খেই হারিয়ে ফেলছিলেন।’’ তিনি শুধু জানাতে পেরেছিলেন, তাঁর নাম কবিতা বেরা। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।

সিআই মানবাজার সুবীর কর্মকার জানান, সেই নাম আর জেলার নাম দিয়েই শুরু হয় খোঁজ। পূর্ব মেদিনীপুরের ওসিদের কবিতাদেবীর ছবি পাঠানো হয় হোয়াটসঅ্যাপে। যায় সিভিক ভল্যান্টিয়ারদের মোবাইলেও। বুধবার সন্ধ্যায় ময়না থানার ওসির ফোনে আশার আলো দেখা যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের বেজে ওঠে ফোন। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার চ্যাংড়া কালাগন্ড থেকে বিনয় বেরা নামে এক ব্যক্তি কেন্দা থানায় ফোন করে জানান, জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে তাঁর স্ত্রী কবিতা বেরা নিখোঁজ। পুলিশ কর্মীদের দেখানো ছবিতে স্ত্রীকে চিনতে পেরেছেন তিনি।

Advertisement

ফেরা: স্বামী ও ছেলের সঙ্গে কবিতা বেরা। নিজস্ব চিত্র

বৃহস্পতিবার ভোরে কেন্দা থানায় ছেলের সঙ্গে আসেন বিনয়বাবু। প্রায় দু’মাস পরে তাঁদের দেখে আনন্দে কেঁদে ওঠেন কবিতাদেবী। তাঁর ছেলে বিকাশ বলেন, ‘‘মাকে যে ফিরে পাব ভাবিনি । খবরটা জানার পরেই চলে এসেছি।’’ পেশায় রাজমিস্ত্রি বিনয়বাবু বলেন, ‘‘কয়েক মাস ধরে স্ত্রীর মানসিক চিকিৎসা চলছে।’’ তমলুক থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেছিলেন তাঁরা। তবে এই ক’দিন কোথায় ছিলেন তা মনে নেই বলেই জানিয়েছেন কবিতাদেবী।

আরও পড়ুন: দেশের মধ্যে নারী ও শিশু পাচারের সংখ্যা সর্বাধিক পশ্চিমবঙ্গে!

কেন্দা থানার আধিকারিক ও পুলিশকর্মীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কবিতাদেবীর পরিজনেরা। পুরুলিয়ার এসপি জয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া মহিলাকে বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন