গাঁইতির কোপে খুন, ধৃত ভাই

বিবাদের জেরে দাদাকে গাঁইতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বোরো থানার বসন্তপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বারু মান্ডি (৩৪)। এ দিন সন্ধ্যায় বারুর ভাই নেপাল মান্ডিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোরো শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪১
Share:

বিবাদের জেরে দাদাকে গাঁইতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বোরো থানার বসন্তপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বারু মান্ডি (৩৪)। এ দিন সন্ধ্যায় বারুর ভাই নেপাল মান্ডিকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই ভাই কাছাকাছি দু’টি বাড়িতে থাকতেন। দু’জনের কেউই বিয়ে করেননি। চাষাবাদ ও দিনমজুরি করে সংসার চলত। বৃদ্ধা মা বারুর কাছে থাকতেন।

পড়শিদের দাবি, দুই ভাইয়ের মধ্যে নানা কারণে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকত। মঙ্গলবার সকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে হঠাৎ বচসা শুরু হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বচসার সময়ে বারু একটি লাঠি নিয়ে এসে নেপালকে মারেন। কিন্তু পড়শিরা এসে মধ্যস্থতা করায় বিষয়টি বেশি দূর গড়ায়নি। দু’জনেই সেই সময়ে বাড়ি চলে যান।

Advertisement

পড়শিদের একাংশের দাবি, এ দিন দুপুরে বারু নিজের বাড়িতে বসেছিলেন। সেই সময়ে নেপালকে গাঁইতি নিয়ে তাঁর ঘরে ঢুকতে দেখেন অনেকে। তাঁরা জানান, প্রাথমিক ভাবে দেখে তাঁদের মনে হয়েছিল, বাড়ির কোনও কাজের জন্য গাঁইতি নিয়ে যাচ্ছেন নেপাল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ বারুর আর্তনাদ শুনে সবাই ছুটে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময়ে নেপাল ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যান। তাঁরা ঘরে ঢুকে দেখেন বারুর মাথা দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। গোটা মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিথর হয়ে যান বারু।

এসডিপিও (মানবাজার) আফজল আবরার বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়ার জেরেই খুন। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় এক পঞ্চায়েত সদস্য খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাড়ির অদূরে লুকিয়ে থাকা নেপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের এক আধিকারিক জানান, নেপাল মত্ত থাকায় তাঁকে জেরা করা যায়নি। নেশার ঘোর কাটলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন