নলহাটির গ্রামে যুবকের মৃত্যু, গ্রেফতার তিন

রাতভর নিখোঁজ থাকার পরে সকালে গ্রামে ঢোকার রাস্তার ধারেই স্থানীয় এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে নলহাটি থানার ভবানন্দপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মত যুবকের নাম সুখেন বন্দ্যোপাধ্যায় (৩২)। বাড়ি ভবানন্দপুর গ্রামেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৬ ০২:০১
Share:

রাতভর নিখোঁজ থাকার পরে সকালে গ্রামে ঢোকার রাস্তার ধারেই স্থানীয় এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার সকালে নলহাটি থানার ভবানন্দপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মত যুবকের নাম সুখেন বন্দ্যোপাধ্যায় (৩২)। বাড়ি ভবানন্দপুর গ্রামেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রাম সংলগ্ন একটি ক্রাশারকল থেকে দু’জন যুবককে সুখেনের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করে। উত্তেজিত জনতা ওই ক্রাশারে আগুনও লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ তার মালিক আনন্দ যাদবের। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে আটক দুই যুবককে উদ্ধার করে। পরে লিখিত অভিযোগ হলে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথম দিকে বাধা পেলেও মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে ক্রাশারে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতারও করে। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় একটি ক্রাশারের গাড়ি চালক সুখেন মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। সুখেনের বাড়ির লোক জন রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি। সুখেনের পরিবারের দাবি, রাতে বন্ধুদের সঙ্গে মদের আসরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বচসার জেরে পাথর দিয়ে আঘাত করে সুখেনকে খুন করা হয়েছে। বুধবার ভোরে গ্রামের প্রান্তে রাস্তার ধারে সুখেনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন বাসিন্দাদের। পরে এলাকার একটি ক্রাশার থেকে দু’জন যবককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার পরেই ওই ক্রাশারে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরিবারের লোক জন খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।

এ দিকে, বৃহস্পতিবার ভবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ ক্রাশারে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিবাদ মিছিল করেন। তাঁরা গ্রাম সংলগ্ন ওই ক্রাশার ও খাদানের মালিকের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে কারখানা ও পাথর খাদান চালানোর অভিযোগও করেছেন।

Advertisement

ক্রাশারে অগ্নিসংযোগের পরে বুধবার সকালেই ঘটনার প্রতিবাদে নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় এক দিনের প্রতীকী ধর্মঘট পালন করে নলহাটি পাথর শিল্পাঞ্চল মালিক সমিতি। ক্রাশার মালিক আনন্দবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ দিন বলেন, ‘‘অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সঠিক ভাবেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমি বাইরে আছি, পড়ে কথা বলব।’’ এই বলেই তিনি ফোন রেখে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি ঘটনারই তদন্ত শুরু হয়েছে। জড়িতদের দ্রুত ধরা হবে।

বাজেয়াপ্ত মদ। অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৬৫ লিটার বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করল কাটোয়া থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার বর্ধমানের কাটোয়ার মণ্ডলপাড়া থেকে মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন