অ্যাডমিট কার্ডই মেলেনি, পরীক্ষা অনিশ্চিত পড়ুয়ার

আজ, বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অথচ মঙ্গলবার পর্যন্ত হাতে অ্যাডমিট কার্ড পেল না নলহাটি থানার প্রসাদপুর রমারঞ্জন হাইস্কুলের ছাত্র সম্রাট মণ্ডল। এই সমস্যার জন্য সম্রাট স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাঁদের দায় এড়িয়ে দাবি করেছেন, বিষয়টি কাউন্সিলের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অপূর্ব সেনগুপ্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৪ ০০:২২
Share:

আজ, বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অথচ মঙ্গলবার পর্যন্ত হাতে অ্যাডমিট কার্ড পেল না নলহাটি থানার প্রসাদপুর রমারঞ্জন হাইস্কুলের ছাত্র সম্রাট মণ্ডল। এই সমস্যার জন্য সম্রাট স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য তাঁদের দায় এড়িয়ে দাবি করেছেন, বিষয়টি কাউন্সিলের ব্যাপার। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অপূর্ব সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, “একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পর স্কুল থেকে ২২০ জনের নাম পাঠানো হয়েছিল। কাউন্সিল থেকে ২১৯ জনের অ্যাডমিট কার্ড পাঠানো হয়েছে। সম্রাট মণ্ডলকে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার পর কাউন্সিল থেকে পাঠানো চেক লিস্টে ‘নো মার্কস’ দেখিয়েছে কাউন্সিল।” অপূর্ববাবুর দাবি, “স্কুল থেকে কাউন্সিলের কাছে পাঠানো কাগজে কিন্তু সম্রাটকে পাশ দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে ঠিক করিয়ে নেওয়া হবে এই আশায় সম্রাট টেস্ট পরীক্ষায় বসেছিল এবং ফর্ম ফিলআপ করেছিল। কিন্তু কাউন্সিল বিষয়টিকে আর বিবেচনা না করে তার অ্যাডমিট কার্ড পাঠায়নি। তার পরেও ওই ছাত্রের জন্য স্কুলের একজন শিক্ষককে কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। আমি নিজে কাউন্সিলের বর্ধমান রিজিওনাল অফিসে গিয়ে সমাধান সূত্র বের করে নিয়ে আসতে পারিনি।” তিনি বলেন, “তবুও কাউন্সিল যদি শেষ মুহূর্তে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখে, সে জন্য মঙ্গলবার পরীক্ষার আগের দিন পুনরায় স্কুলের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে সম্রাটকে কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।”

Advertisement

যদি শেষ মুহূর্তে ছাত্রটি পরীক্ষায় বসতে না পারে, তা হলে তার একবছর ক্ষতি হয়ে যাবে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে? স্কুল কর্তৃপক্ষ না কাউন্সিল? অপূর্ববাবু অবশ্য বলেন, “কে দায়ী কী করে বোঝাই বলুন তো!” সম্রাটের কথায়, “আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ মতো উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফর্ম পূরণ করেছি। উনি যদি বিষয়টি নিয়ে তৎপর হতেন, তা হলে আমার অ্যাডমিট কার্ড অবশ্যই আসত।” এ ব্যাপারে কাউন্সিলের বর্ধমানের রিজিওনাল অফিসে জিজ্ঞাসা করা হলে, এ ব্যাপারে যা বলার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট কিংবা সম্পাদক বললেন বলে জানানো হয়। অন্য দিকে, নলহাটি থানার কুরুমগ্রাম মিত্রভূম হাইস্কুলের ১২ জন পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডে অসঙ্গতি দেখা দিয়েছিল। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরুণ কর্মকার আশ্বাস দিয়েছেন, “ওই সমস্ত অ্যাডমিট কার্ডে রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী বিষয় দেওয়া নেই। পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এতে কোনও সমস্যা হবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন