অবহেলায় বিকল বিল জমা দেওয়ার যন্ত্র, ক্ষোভ

দীর্ঘ দিন বিকল হয়ে পড়ে থাকা বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র মেরামতির দাবি তুললেন গ্রাহকেরা। তাঁদের অভিযোগ, শান্তিনিকেতনর গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই দফতরে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ওই এলাকার গ্রাহকেরা। এলাকায় গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে দিন দিন। দফতরের দাবি, বহু চেষ্টা করেও ওই যন্ত্রটিকে সারানো যায়নি। দ্রুত নতুন যন্ত্র বসানোর জন্য লিখিত ভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৪ ০১:০১
Share:

গেটে ঝুলছে তালা। শান্তিনিকেতনে তোলা নিজস্ব চিত্র।

দীর্ঘ দিন বিকল হয়ে পড়ে থাকা বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র মেরামতির দাবি তুললেন গ্রাহকেরা। তাঁদের অভিযোগ, শান্তিনিকেতনর গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই দফতরে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়ে থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ওই এলাকার গ্রাহকেরা। এলাকায় গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে দিন দিন। দফতরের দাবি, বহু চেষ্টা করেও ওই যন্ত্রটিকে সারানো যায়নি। দ্রুত নতুন যন্ত্র বসানোর জন্য লিখিত ভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, উন্নততর গ্রাহক পরিষেবার লক্ষ্যে এ রাজ্যের সল্টলেকের পর শান্তিনিকেতনের গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই দফতরে বসেছিল বিদ্যুৎ বিলের অর্থ জমা দেওয়ার এই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র(সেবক)টি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের উদ্যোগে ২০০৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সে সময় লোকসভার অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন ওই যন্ত্রের। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বামফ্রন্ট পরিচালিত বীরভূম জেলা পরিষদের তৎকালীন জেলা সভাধিপতি, সিপিএমের মনসা হাঁসদা। রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের সদস্য সচিব সুনিল কুমার গুপ্তা উন্নততর গ্রাহক পরিষেবার উদ্দেশ্যে এই যন্ত্রকে চালু করার কথা ওই অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন। বছর খানেক চলার পর ওই যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে।

বোলপুর-শান্তিনিকেতন এবং সংলগ্ন এলাকার বার্ধক্যদের জন্য লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা না দাঁড়িয়ে, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সুবিধার কথা উদ্যোক্তারা জানিয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতে ওই যন্ত্র বিকল হওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়ে উদ্যোক্তাদের। সে সময় কোনওভাবে মেরামতি করে ফের চালু হয়েছিল পরিষেবা। অভিযোগ, ওই চালু পরিষেবা বেশি দিন টেকেনি। মাস খানেকের মধ্যে আবার সেই একই দশা হয়। এরপর আর চালু হয়নি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি। তখন থেকেই অবহেলায় পড়ে আছে। কবে ফের চালু হবে পরিষেবা, তা নিয়ে অবশ্য কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত যে কোনও সময়ে বিদ্যুৎ বিলের অর্থ জমা দেওয়া যেত ওই স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রে। ২০০৪ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে রাজ্যের সল্টলেকে ওই পরিষেবা চালু করেছিল পর্ষদ। গ্রাহকদের মধ্যে সেবক যন্ত্রটি ভাল সাড়া মেলায়, শান্তিনিকেতন এলাকার প্রবীণ আশ্রমিক এবং গ্রাহকদের আবেদনে উন্নততর গ্রাহক পরিষেবার লক্ষ্যে উদ্যোগী হয় সংশ্লিষ্ট দফতর। বিলের অর্থ জমা দেওয়ার পাশাপাশি চেকে ওই বিল জমা দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ভবন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি শান্তিনিকেতন গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই দফতরের পাঠায়।

স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, লাগোয়া নীচুপট্টি এলাকায় বোলপুর এলাকার গ্রাহকদের জন্য একইরকম একটি যন্ত্র রয়েছে। তার পরিষেবা নিয়েও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে একাধিক মহলে। অভিযোগ, সকাল ছয়টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওই পরিষেবা পাওয়ার জায়গায় সংশ্লিষ্ট দফতরের ওই শাখাটি সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নিজের মতো করে সময় ধার্য করেছে। এতে গ্রাহকদের চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।

বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার কে কে মিশ্র বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। বহু চেষ্টা করেও গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাই দফতরের যন্ত্রকে সারানো যায়নি। ওই যন্ত্রের জায়গায় অন্য যন্ত্র দ্রুত বসানোর জন্য লিখিত ভাবে বলা হয়েছে। খুব শীঘ্রই বিদ্যুৎ বিলের টাকা এবং ড্রাফট জমা দেওয়ার যন্ত্র বসছে শান্তিনিকেতন গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন