পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর জেলার মধ্যবর্তী স্থান পুরুলিয়ার মানবাজারে একটি আঞ্চলিক দূরদর্শন কেন্দ্র স্থাপনের দাবি তুলেছেন এলাকার বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী গোরাচাঁদ নারায়ণ দেব।
সম্প্রতি এই প্রবীণ শিল্পীকে মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে সম্মান জানানো হয়। সেখানেই তিনি বলেন, “এলাকায় লোকশিল্পীরা তেমন গুরুত্ব পান না। পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর জেলায় অনেক লোকশিল্পী আছেন, যাঁদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তবু লোকশিল্প ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁরা অন্তরালে কাজ করে যাচ্ছেন। লোকসংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে দূরদর্শনের আঞ্চলিক কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এতে শিল্পী ও শিল্পের প্রসার-প্রচার দুইই ঘটে।” পুরুলিয়ার সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো বলেন, “দূরদর্শনের আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকে আবেদন জানাতে হয়। এ বিষয়ে বিভাগীয় দফতরের সঙ্গে কথা বলব।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত রাজ্যের স্বনিযুক্তি ও স্বনির্ভর দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো আশ্বাস দেন, “এটি খুব ভাল প্রস্তাব। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে করা হবে।” ওই শিল্পীকে সম্মান জানানোর পাশাপাশি ব্লক অফিস লাগোয়া মাঠে সম্প্রতি মানবাজার পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে একগুচ্ছ অনুষ্ঠান হয়েছে। মানবাজারের বিডিও সায়ক দেব জানান, আনন্দধারা, রাজীব গাঁধী সেবা কেন্দ্র, মানভূম ভবন ও টুসু ভবন নামে এই চারটি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। ওই দিন ব্লকের ১৭টি মাধ্যমিক স্কুল ও ১৪টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের কৃতী পড়ুয়াদের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, কৃষিতে বিশেষ পারদর্শিতার জন্য এলাকার চাষিদের কৃষিযন্ত্র ও স্বনির্ভর দলের মহিলাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে, ব্লকের ১০টি অঞ্চলের তফশিলি উপজাতি ছাত্রীদের হাতে ৪৭৪টি সাইকেল তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো, মানবাজারের বাসিন্দা শতবর্ষে পা দেওয়া স্বাধীনতা সেনানী বিজয়কুমার দত্ত,জেলা পরিষদের নারী ও শিশু কল্যাণ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নিয়তি মাহাতো, বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু প্রমুখ।