বিশ্বভারতী

উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান

বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ বহাল রাখার প্রশ্নে দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। উপাচার্য সংরক্ষণ প্রথা তুলে দিতে চান। বিরোধিতা করছেন পড়ুয়া, অধ্যাপক-অভিভাবক-কর্মীদের একটা অংশ। কিন্তু দু’পক্ষের বিরোধের জেরে ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত পঠনপাঠন প্রায় শিকেয় উঠেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। দিন কয়েকের অনুপস্থিতির পরে, শুক্রবার উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত শান্তিনিকেতনে ফিরতেই আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:৪৮
Share:

বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ বহাল রাখার প্রশ্নে দু’পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। উপাচার্য সংরক্ষণ প্রথা তুলে দিতে চান। বিরোধিতা করছেন পড়ুয়া, অধ্যাপক-অভিভাবক-কর্মীদের একটা অংশ।

Advertisement

কিন্তু দু’পক্ষের বিরোধের জেরে ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত পঠনপাঠন প্রায় শিকেয় উঠেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। দিন কয়েকের অনুপস্থিতির পরে, শুক্রবার উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত শান্তিনিকেতনে ফিরতেই আন্দোলনের তীব্রতা বাড়ল।

অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ বহাল রাখা এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এ দিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মিছিল করেন হাজার তিনেক মানুষ। দুপুর থেকে উপাচার্যের আবাসনের সামনে অবস্থানে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। রাত পর্যন্ত সেখান থেকে তাঁরা সরেননি। উপাচার্য অবশ্য দাবি করেছেন, এ আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠের সায় নেই। তাঁর মন্তব্য, “বিশ্বভারতীতে অরাজকতা চলছে। মুষ্টিমেয় লোক এ সব করছে। এ রকম চলতে পারে না।” পরিস্থিতির কথা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকে জানিয়েছেন বলে দাবি সুশান্তবাবুর। তবে কবে নিয়মিত পড়াশোনা চালু হবে, সে ব্যাপারে মন্তব্য করেননি।

Advertisement

পক্ষান্তরে, আন্দোলনকারীদের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক কিশোর ভট্টাচার্য এবং আনন্দদুলাল মিত্র বলেন, “উপাচার্যের বিরুদ্ধে এ দিন মহা-মিছিল করেছি। সেই মিছিলই প্রমাণ করে দিয়েছে, বিশ্বভারতীতে কারা সংখ্যাগরিষ্ঠ!”

এ দিন সকালে শ্রীনিকেতনে শুরু হয় মাঘ মেলা। শান্তিনিকেতনের ভাষা-বিদ্যা ভবনে হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক আলোচনাসভা। এই দু’টি অনুষ্ঠান বাদে মোটের উপরে বিশ্বভারতী ‘স্তব্ধ’ ছিল। কর্মীরা মিছিলে চলে যাওয়ায় কোনও বিভাগের তালা খোলা হয়নি। মাঘ মেলা চত্বরে সে ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুশান্তবাবু বলেন, “এ ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা বন্ধ করাটা অন্যায় কাজ। ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করতে আসেন। তাঁদের ভবিষ্যত আছে। এ ভাবে ক্লাস নষ্ট হলে তাঁদের সেমেস্টারটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।”

আন্দোলনকারীদের পাল্টা বক্তব্য, “নিজেদের ক্ষতি জেনেও পড়ুয়ারা বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের সঙ্গে আসছেন। তাঁদের নিষেধ করা হবে কোন যুক্তিতে? উপাচার্য আসলে পড়ুয়াদের নিরস্ত করতে না পেরে এ ধরনের মন্তব্য করছেন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন