কিশোরী পাচার, গ্রেফতার দুই

উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে নলহাটি থানায় নিয়ে আসা হয় ওই কিশোরীটিকে। বুধবার সকালে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কোটেশ্বর রাও জানান, গত ১৪ অগস্ট নলহাটি থেকে ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে মোরাদাবাদ নিয়ে যান নলহাটি থানার পাথরা গ্রামের নুর ইসলাম নামে এক প্রৌঢ়। অভিযোগ, সেখানে টাকার বিনিময়ে ওই প্রৌঢ় তাকে মোরাদাবাদ এলাকায় এক নারীপাচারকারীকে বিক্রি করে দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নলহাটি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৪৭
Share:

উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ থেকে এক কিশোরীকে উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে নলহাটি থানায় নিয়ে আসা হয় ওই কিশোরীটিকে। বুধবার সকালে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কোটেশ্বর রাও জানান, গত ১৪ অগস্ট নলহাটি থেকে ওই কিশোরীকে ফুঁসলিয়ে মোরাদাবাদ নিয়ে যান নলহাটি থানার পাথরা গ্রামের নুর ইসলাম নামে এক প্রৌঢ়। অভিযোগ, সেখানে টাকার বিনিময়ে ওই প্রৌঢ় তাকে মোরাদাবাদ এলাকায় এক নারীপাচারকারীকে বিক্রি করে দেয়। খবর পেয়ে নুর ইসলামকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। ১০ সেপ্টেম্বর কিশোরীটির বাবা, নুর ইসলাম এবং এক এসআই, তিন কনস্টেবল (এক জন মহিলা) মোরাদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। পুলিশ ওই ঘটনায় নুর ইসলাম-সহ মোরাদাবাদ থেকে উমেশ ঠাকুর নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

উদ্ধার হওয়া বারো বছরের ওই কিশোরী জানিয়েছে, ১৪ অগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বাজারে গিয়েছিল সে। সেখান থেকে নুর ইসলাম নামে ওই প্রৌঢ় তাকে জানিয়েছিল যে, বাবার সঙ্গে প্রৌঢ়ের কথা হয়ে গিয়েছে। বাবা মেয়েটি মোরাদাবাদে পাঠিয়ে যেতে দিতে চেয়েছেন। সেখানে তাকে সেলাইয়ের কাজে লাগানো হবে। এর পর কিশোরীটিকে মোরাদাবাদে একজনের হাতে ছেড়ে দেয় নুর ইসলাম। মেয়েটির অভিযোগ, সেখানে তার উপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। দিন পনেরো পরে মেয়েটি কোনও ক্রমে একটা মোবাইল থেকে বাবার কাছে ফোন করে।

কিশোরীটির বাবা বলেন, “নলহাটিতে আমাদের ফাঁকা মাঠের মধ্যে বাড়ি। নুর ইসলাম আমাদের বাড়ির কাছাকাছি এলাকায় মাঠে চাষের কাজ করতে আসত। সেই সূত্রে পরিচয়। পরে আমাদের বাড়ি আসা যাওয়া করত। তাই বলে উনি যে আমার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে ওই ভাবে বাড়ি থেকে নিয়ে মেয়েকে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেবে বুঝতেই পারিনি। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ১৫ অগস্ট নলহাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি। পরে জানতে পারি নুর ইসলাম আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়েছে। পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে আমার মেয়েকে এনে দেওয়ার কথা বলেছিল সে। ২ অক্টোবর নলহাটি থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি।” ধৃত দু’জনকে বুধবার রামপুরহাট আদালতে পাঠানো হয়।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন