খুনের দায়ে দুই ভাইয়ের কারাদণ্ড

ট্রাক চালককে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল দুই ভাইয়ের। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বামাচরণ ঘোষ ও বিনয় ঘোষ। তাঁদের বাড়ি সাঁইথিয়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৪ ০৬:৩৬
Share:

ট্রাক চালককে খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল দুই ভাইয়ের। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন বামাচরণ ঘোষ ও বিনয় ঘোষ। তাঁদের বাড়ি সাঁইথিয়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। বৃহস্পতিবার তাঁদের সিউড়ি আদালতে হাজির করানো হয়। এই মামলায় ২১ জন সাক্ষ্য দিয়েলেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বর থানার মীরপুর গ্রামের যুবক লক্ষ্মণ পাল পেশায় ট্রাক চালক। তিনি সাঁইথিয়ায় ট্রাক চালাতেন। ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মণবাবু রাতে বাড়ি ফেরেননি। তাঁর দাদা রামপ্রসাদ পাল বলেন, “অনেক খোঁজা হয়। কিন্তু কোথাও ভাইয়ের হদিশ মেলেনি। তিন দিন পরে সাঁইথিয়া তালতলা লাগোয়া ময়ূরাক্ষী নদীর চরে দেহ মেলে। ওই দিন রাতেই সাঁইথিয়া থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করি।” পুলিশ জানায়, নিহতের গলায় গলায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তদন্তে ট্রাক চালক বামাচরণ ঘোষ ও তাঁর ভাই বিনয় ঘোষের নাম উঠে আসে। সেই মতো বামাচরণকে গ্রেফতার করা হয়। বিনয় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়েছিলেন।

সরকারি আইনজীবী সৈয়দ সমিদুল আলম জানান, পুলিশ ৩০২, ২০১, ১২০বি ও ৩৪ এই সব ধারায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। ধৃত বামাচরণ ৯০ দিন পরে জামিন পান। পরে পুলিশ ১৫টি নথি-সহ চার্জশিট দাখিল করে। পুলিশের জমা করা নথি ও ২১ জনের সাক্ষ্যদানের ভিত্তিতে বুধবার সিউড়ি আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক মহানন্দ দাস ৩০২ ধারায় দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বৃহস্পতিবার সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাস করে সাজা শোনান বিচারক। সব সাজা এক সঙ্গে চলবে। আইনজীবী বলেন, “বামাচরণের স্ত্রীর সঙ্গে লক্ষ্মণের ‘বিবাহ বহির্ভূত’ সম্পর্ক রয়েছে এবং এই অপবাদের কারণে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে সন্দেহ হয় বামাচরণের। সেই আক্রোশে লক্ষ্মণকে খুন করেছেন বলে জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন। এই সব বিষয় পুলিশের দাখিল করা নথিতে রয়েছে। যাঁরা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁরাও একই কথা বলেছেন।” উচ্চ আদালতে যাবেন বলে এ দিন জানিয়েছেন, সাজাপ্রাপ্ত দুই ভাইয়ের আইনজীবী সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। রায় শোনার পরে নিহত যুবক লক্ষ্মণের দাদা রামপ্রসাদবাবু বলেন, “এত দিন অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এসেছিলাম। এই রায়ে আমরা খুশি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন