মেয়ের শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে, মেয়ের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে অগ্নিদগ্ধ করে খুনের অভিযোগ করেছিলেন বাবা। সোমবার সাক্ষ্য গ্রহণের সময়ে বেঁকে বসলেন সেই তিনি। উল্টে তাঁর দাবি, তাঁর নিহত মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ দিকে সাক্ষীগ্রহনের সময়ে নিজের দেওয়া বয়ান থেকে বেঁকে বসায়, ওই সাক্ষীকে তাই বিরূপ ঘোষণা করলেন সরকারি আইনজীবী। সোমবার বোলপুর আদালতের ঘটনা।
সরকারি আইনজীবী তপন কুমার দে জানান, ২০১৩ সালের ৪ জুন নানুর থানার ব্রাহ্মনডিহি গ্রামের বাসিন্দা মদন দাসের মেয়ে কবিতা দাসের সঙ্গে লাভপুর থানার ধ্রুববাটি গ্রামে মুক্তিপদ দাসের ছেলে মানব দাসের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কবিতাদেবীর উপর সমানে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। ওই বছরই ২৩ সেপ্টেম্বর শ্বশুরবাড়ি ধ্রুববাটি থেকে ব্রাহ্মনডিহি চলে আসেন কবিতাদেবী। পরের দিন তাঁর মানববাবু শ্বশুর বাড়িতে এসে নিয়ে যায় কবিতা দেবীকে। এবং পরের দিনই অগ্নিদগ্ধ হন কবিতাদেবী। ২৫ তারিখ মারা যান তিনি।
ঘটনা হল, কবিতাদেবীর মৃত্যুর পর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এবং ৩০২ ধারায় লাভপুর থানায় কবিতার স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির চার জনের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ জানান মদন দাস। চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে লাভপুর পুলিশ। চলতি বছর ২০ নভেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪৯৮ এবং ৩০২ ধারায় চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়।
বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরীর নির্দেশে সোমবার থেকে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য হয়। বিচারকের নির্দেশ মত সোমবার এই মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে প্রথম সাক্ষী হিসেবে নিহত বধুর বাবা তথা ঘটনার অভিযোগকারী মদন দাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পুলিশে দেওয়া লিখিত বয়ান থেকে সরে দাঁড়নোয়, তাঁকে বিরূপ সাক্ষী ঘোষণা করেন আইনজীবী। আজ মঙ্গলবার থেকে অন্য সাক্ষীদের বয়ান নেবে আদালত।