গাছ নিয়ে পঞ্চায়েতে কাজিয়া

পঞ্চায়েত চত্বরে থাকা একটি শিশু গাছ শুকিয়ে গিয়েছিল আগেই। ঝড়ে ভেঙে পড়লে, পঞ্চায়েতের বিরোধী সদস্যরা অভিযোগ তোলেন, প্রধানের নজর এড়িয়ে গাছটিকেই কেটে বেচে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এক কর্মী। প্রধানের হস্তক্ষেপ দাবি করেন বিরোধীরা। প্রধানের হস্তক্ষেপেও মেলেনি সমাধান সূত্র। বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন প্রধান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাজনগর শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৪ ০০:১৬
Share:

পঞ্চায়েত চত্বরে থাকা একটি শিশু গাছ শুকিয়ে গিয়েছিল আগেই। ঝড়ে ভেঙে পড়লে, পঞ্চায়েতের বিরোধী সদস্যরা অভিযোগ তোলেন, প্রধানের নজর এড়িয়ে গাছটিকেই কেটে বেচে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এক কর্মী। প্রধানের হস্তক্ষেপ দাবি করেন বিরোধীরা। প্রধানের হস্তক্ষেপেও মেলেনি সমাধান সূত্র। বিডিওর দ্বারস্থ হয়েছেন প্রধান। একটি শুকিয়ে যাওয়া গাছকে ঘিরে এমনই তীব্র রাজনৈতিক কাজিয়া দেখল রাজনগরের গাংমুড়ির জয়পুর পঞ্চায়েত। ঘটনার পরদিন গাছটির উধাও হয়ে যাওয়ায় বিডিওর দ্বারস্থ হন প্রধান যেমন, অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, পুলিশকে জানিয়ে অন্যত্র রাখা হয়েছে গাছটিকে। সিপিএম পরিচালিত ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী তৃণমূল সদস্য সুনীল রেওয়ানীর দাবি, আমাদের অন্ধকারে রেখে গাছটি বিক্রির চেষ্টা হয়েছিল, সেটিতে বাধা দিই। প্রধানের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলাম সেটা তিনি না করায় আমরা পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসেই ওই কাটা গাছ আমাদের এক সদস্যদের বাড়িতে রাখতে বলেছে।

Advertisement

প্রধান সোনালী গড়াই জনিয়েছেন, “সোমবার জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েছিলাম। আগের রাতে শুকনো গাছটি ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় তার ছিঁড়ে সমস্যা হচ্ছিল বলে ওই কর্মী গাছ কেটেছিলেন। বিক্রি করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না ওঁর। গাছ পঞ্চায়েতেই ছিল। কিন্তু সেদিন বিরোধীরাই গাছটির কী হবে সেটা স্পষ্ট করতে পারেননি।” তিনি জানান, পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার গাছটা দেখতে পাননি আর। তখন বিডিওকে জানান। রাজনগরের বিডিও আশেক রহমানও বলেন, “গাছ নিয়ে সমস্যা থাকায় পুলিশ গিয়ে গাছটিকে এই পঞ্চায়েত এক সদস্যের জিম্মায় রেখেছে। পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।” প্রধানের পাল্টা দাবি, গাছ নিয়ে সমস্যার সময় আমাকে ওরা ডাকলেন কিন্তু গাছ কে বা কারা সরাল সেটা আমাকে জানানোর প্রয়োজন মনে করল না কেউই। তাই বিডিওকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। পঞ্চায়েতের সহায়ক কর্মী সঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, “ইন্টারনেটের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় শুকনো গাছটিকে কাটিয়ে ছিলাম। এতো বিতর্ক হবে বুঝতে পারিনি।”

আত্মসমর্পণ। বিজয় মিছিল থেকে হামলা চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ তৃণমূল কর্মী আত্মসমর্পণ করলেন। বুধবার কালনার এসিজেএম তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন। সিপিএম পরিচালিত জামনা পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী লক্ষ্মণ ঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন