চাকরির দিশায় শিবির

কলেজের ধাপ শেষ করেই কর্মক্ষেত্রে নিজেদের জায়গা তৈরি করাই দস্তুর। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পথ মোটেও সহজ নয়। কীভাবে নিজেকে কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করবেন পড়ুয়ারা। কী ভাবেই বা ইন্টারভিউ ‘ফেস’ করবেন তাঁরা। শুক্রবার তারই দু’টি কর্মশালা হয়ে গেল সিউড়ি শহরের দু’টি কলেজ। বেলা ১১টা থেকে বীরভূম মহাবিদ্যালয় এবং দুপুর ২টো থেকে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩০
Share:

বীরভূম মহাবিদ্যালয়ে শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

কলেজের ধাপ শেষ করেই কর্মক্ষেত্রে নিজেদের জায়গা তৈরি করাই দস্তুর। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পথ মোটেও সহজ নয়। কীভাবে নিজেকে কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করবেন পড়ুয়ারা। কী ভাবেই বা ইন্টারভিউ ‘ফেস’ করবেন তাঁরা। শুক্রবার তারই দু’টি কর্মশালা হয়ে গেল সিউড়ি শহরের দু’টি কলেজ। বেলা ১১টা থেকে বীরভূম মহাবিদ্যালয় এবং দুপুর ২টো থেকে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজে। যৌথ ভাবে ওই কর্মশালার আয়োজক আনন্দবাজার পত্রিকা ও জিলেট গার্ড। বায়োডাটা তৈরি থেকে নিজেকে উপস্থাপন করা, নিজেদের খামতি মিটিয়ে কী ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের জন্যL এমন নানান খুঁটিনাটি দিক ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তুলে ধারাই উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়েছে আয়োজকদের তরফে। এ দিনের কর্মশালায় দুটি কলেজের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শ’পাঁচেক ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। যদিও মূল ফোকাস ছিল তৃতীয়বর্ষের প্রতি। একটি মূল্যায়নের মাধ্যমে দু’টি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ১০ জন ছাত্রকে বেছে নিয়ে গ্রুপ ডিসকাসনের মাধ্যমে কলেজ দু’টির সেরা একজন করে ছাত্রকে বাছা হয়েছে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, রাজ্যের এমন ৮০টি কলেজ থেকে এমন ৮০ জন পড়ুয়াকে বেছে নিয়ে তাঁদের মধ্যে সেরা একজনক পড়ুয়াকে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে কোনও প্রতিষ্ঠিত সংস্থায়। কর্মাশালায় উপস্থিত থাকতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছাত্র-ছাত্রীরা। বীরভূম মহাবিদ্যালের মহান দাস, শিউলি ভাণ্ডারী কিংবা বিদ্যাসাগর কলেজের সংগ্রাম বন্দ্যোপাধ্যায়রা জানিয়েছেন, মফস্‌সল বা পিছনের সারিতে থাকা জেলার ছেলেমেয়েদের সামনে এমন সুযোগ এনে দেওয়ার জন্য আয়োজকেদের ধন্যবাদ। প্রায় একই বক্তব্য মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পার্থসারথী মুখোপাধ্যায় এবং সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহাদেব চন্দ্রেরও। তাঁরা বলেন, “ছাত্রজীবন থকে কর্মজীবনের প্রবেশের আগে এমন কর্মশালা এই এলাকার ছাত্রছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত কার্যকরী হবে। তারা নিজেদেরকে যাচাই করে খামতি মিটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দিশা পাবে। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন