পড়ুয়াদের অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য বোঝাচ্ছেন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরীর ছবি।
প্রথা ভেঙে মেধাকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে বিশ্বভারতী। আর সেই সিদ্ধান্তের জেরে দিনভর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল বিশ্ববিদ্যালয়কে।
অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার দিনভর উপাচার্যের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসল বিশ্বভারতীর পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছাত্রছাত্রীরা। রাতে বিক্ষোভ ওঠে। চার পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ানোর অভিযোগে কর্তৃপক্ষ সাত সিনিয়র ছাত্রকে সাসপেন্ড করেছে।
এত দিন বিশ্বভারতীতে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্র থেকে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর, প্রায় সব পড়ুয়ারাই সুযোগ পেত স্নাতক স্তরে পড়ার। ২২ নভেম্বর শিক্ষা সমিতির বৈঠকে ঠিক হয়, এখন থেকে স্নাতক স্তরে ভর্তি হতে গেলে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষায় বসতে হবে। একটি প্রেস বিবৃতিতে উপাচার্যের মুখপাত্র সন্দীপ সর্বাধিকারী জানান, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। পড়ুয়াদের আশঙ্কা, নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তারা ওই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে। এ দিন সাতশোরও বেশি ছাত্রছাত্রী মিছিল করে হাজির হয় বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। চলে গান-কবিতায় প্রতিবাদ আন্দোলন। উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত এসে তাদের ক্লাসে যেতে বলেন। কিন্তু, আন্দোলনরত পড়ুয়ারা কোনও কথা শোনেনি।
পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের শিক্ষকদেরও একাংশের বক্তব্য, “ছাত্রছাত্রীদের দাবি সহনাভূতির সঙ্গে দেখছি। কিন্তু অনড় অবস্থানে থাকলে সমস্যা মিটবে না।”