ছন্দে ফিরল শান্তিনিকেতন

বিশ্বভারতীতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরল। বুধবার বিদ্যালয়স্তরের ছাত্রছাত্রীদের নিদর্শন পত্র প্রদান উৎসব ফিরল পুরনো মেজাজে। একই সঙ্গে বিশ্বভারতীর কর্মী-অধ্যাপক ও ছাত্রমহল মেতে উঠে ভিড় বাড়াল পৌষ উৎসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনুষ্ঠানে পালিত হল কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের যৌথ উদ্যোগে। প্রতিষ্ঠানের রীতি মেনে শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে বুধবার কর্তৃপক্ষ পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের হাতে নিদর্শন পত্র তুলে দেয়।

Advertisement

মহেন্দ্র জেনা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:০৪
Share:

বুধবার পৌষ মেলার ছবিটি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

বিশ্বভারতীতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরল। বুধবার বিদ্যালয়স্তরের ছাত্রছাত্রীদের নিদর্শন পত্র প্রদান উৎসব ফিরল পুরনো মেজাজে। একই সঙ্গে বিশ্বভারতীর কর্মী-অধ্যাপক ও ছাত্রমহল মেতে উঠে ভিড় বাড়াল পৌষ উৎসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনুষ্ঠানে পালিত হল কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের যৌথ উদ্যোগে।

Advertisement

প্রতিষ্ঠানের রীতি মেনে শান্তিনিকেতনের আম্রকুঞ্জে বুধবার কর্তৃপক্ষ পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের হাতে নিদর্শন পত্র তুলে দেয়। বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎসবে এ দিন প্রধান অতিথি হিসেবে ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত বলেন, “পরিপূর্ণ ও সর্বাঙ্গীণ শিক্ষার আসর হল পাঠভবন ও শিক্ষাসত্র। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের বলব যেন, রবীন্দ্রনাথের আদর্শ মেনে এখানকার ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের প্রাপ্ত শিক্ষা বাইরে জগতে আত্মপ্রকাশ করে, তাঁদের সেদিকে নজর দেওয়ার কথা।” অনুষ্ঠানে পাঠভবনের মাধ্যমিকের ১০২ জন ও উচ্চ মাধ্যমিকের ১৩৭ জন এবং শিক্ষাসত্রের মাধ্যমিকের ৮০ জন এবং উচ্চমাধ্যমিকের ৭৫ জন উত্তীর্ণ পড়ুয়ার হাতে নিদর্শন পত্র তুলে দেয় বিশ্বভারতী।

এর পর শান্তিনিকেতন গৃহে মহর্ষি কক্ষের উদ্বোধন করে একাধিক গ্রন্থ প্রকাশ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত। নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী গ্রন্থ প্রকাশের অনুষ্ঠান ছিল ২৩ তারিখ। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে, রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ তুলে উপাচার্য সুশান্তবাবু জানান, আজ বিশ্বের কোথাও না কোথাও ৭ পৌষ গ্রন্থ প্রকাশের অনুষ্ঠানও ছিল। সেই তিথিতে তাই এ দিন গ্রন্থ প্রকাশের অনুষ্ঠান হল। এ দিনই বিকেলে তিনটে নাগাদ শান্তিনিকেতনের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ছিল মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মারক বক্তৃতা। এ দিন সকালে পৌষমেলার বিনোদন মঞ্চে ছিল ফকিরদের গান। সাড়ে এগারটায় সত্যপীরের পাঁচালি। বিকেল ৪টে থেকে শুরু হয় বাউল গানের অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় ইন্দিরা গান্ধী সংলগ্ন মাঠে ছিল আতসবাজির প্রদর্শন। এ দিনই রাতের দিকে রাইবেশে, লোকনৃত্য, মুখোস নৃত্য এবং আলকাপ পরিবেশিত হয় বিনোদন মঞ্চে।

Advertisement

অন্য বারের মতো এবারও বিভিন্ন স্টলে গিয়ে পরিবেশ দূষণ ও প্লাস্টিক রোধে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে। ছাত্র নেতা অচিন্ত্য বাগদী, জামসেদ আলি খান বলেন, “আন্দোলনের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা এতদিন পৌষ মেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এখন সবাই মেলায় মেতেছে। অনেকেই এবারও স্বেচ্ছাসেবকের কাজও করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন