তৃণমূলের নালিশ, ধৃত বিজেপির ৩
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইলামবাজার
বাড়িতে ঢুকে এক তৃণমূল সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ইলামবাজার থানা এলাকার হালসিডাঙার ঘটনা। পুলিশ ওই ঘটনায় তিন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, এলাকায় প্রচারে গেলে তৃণমূলের লোকজনই তাদের ওই কর্মী-সমর্থকদের মারধর করে পুলিশে দিয়েছে। এসডিপিও (বোলপুর) সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, “একটি মারধরের অভিযোগ জমা পড়েছে। তার ভিত্তিতেই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” অভিযোগকারী অমর ঘোষের দাবি, এ দিন সকালে কয়েক জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক তাঁরা ওষুধের দোকান ও বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। তাঁকে মারধর করে ঘর ভাঙচুর করে লুঠপাট চালানো হয়। এ দিনই অমরবাবু ইলামবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিনই পুলিশ ওই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ওই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির ইলামবাজার ব্লক নেতা অনিল চট্টোপাধ্যায়। তাঁর পাল্টা দাবি, ওই এলাকায় বিজেপির সংগঠন বাড়ছে। দলের পক্ষ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার একাধিক দাবিতে ব্লক অফিসে একটি স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে। অনিলবাবু বলেন, “এ দিন দুপুরে হালসিডাঙায় ওই কর্মসূচিই প্রচার করছিলেন আমাদের কয়েক জন কর্মী-সমর্থক। শাসক দলের লোকজন পুলিশকে দিয়ে তাঁদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করিয়েছে।” একই অভিযোগ করেছেন বিজেপির জেলা কমিটির অন্যতম সম্পাদক চিত্তরঞ্জন সিংহও। তিনি বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের কয়েক জন নিরীহ কর্মী-সমর্থক কেবল মাত্র স্মারকলিপি কর্মসূচির প্রচারে গিয়েছিলেন। তাঁরাই শাসক দলের হাতে মার খেলেন। আর পুলিশ তাঁদেরই গ্রেফতার করল! এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপির ক্ষমতায় তৃণমূল ভয় পাচ্ছে।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলামের যদিও দাবি, “বিজেপি এলাকায় বহিরাগতদের জড়ো করে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের আক্রমণের চেষ্টা করেছিল। তারাই আমাদের সমর্থক অমর ঘোষের ওষুধের দোকান, বাড়িতে ভাঙচুরও চালায়।”
সমবায় ব্যাঙ্ক খোলার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর
বোলপুরে বন্ধ শাখা। নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক খোলা, লেনদেন চালু করা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে কর্মরতদের কর্মসংস্থানের দাবিতে আজ বুধবার বোলপুরের চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ‘সমবায় বাঁচাও কমিটি’। এলাকার বামফ্রন্টের সহযোগিতায় সমবায় বাঁচাও কমিটির উদ্যোগে বুধবার ওই অবস্থান-বিক্ষোভ এবং পরে বোলপুরের মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। মঙ্গলবার বোলপুর শহর জুড়ে প্রচারও করেছে সমবায় বাঁচাও কমিটি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে গত ১৫ মে থেকে বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সমস্ত শাখার লেনদেন বন্ধ আছে। সেই কারণে, কয়েক হাজার আমানতকারী আমানত পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন কয়েক হাজার গ্রাহক। চাষের মরসুমে, আমানত না পাওয়ার কারণে, জেলার কৃষকদের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে দিন দিন। ব্যাঙ্ক খোলার দাবি উঠছে সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে। সিপিএমের বোলপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক উৎপল রুদ্র বলেন, “সমবায় বাঁচাও কমিটির ডাকে এবং বামফ্রণ্টের সহযোগিতায়, কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক চালু করার দাবিতে, বুধবার বোলপুরের চৌরাস্তায় এক ঘণ্টা অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে। মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে।”
সারের কালোবাজারি বন্ধে অভিযান
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি
নলহাটিতে। —নিজস্ব চিত্র।
সারের কালোবাজারিতে সমবায় সমিতি জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে নলহাটি থানার গোবিন্দপুর এবং বানিওর গ্রামে পুলিশকে নিয়ে অভিযান চালান নলহাটি ১ ব্লক সমবায় পরিদর্শক অনুপ বসাক। গোবিন্দপুরের মুদি দোকানের মালিক লাল্টু শেখ বিনা লাইসেন্সে সারের ব্যবসা করছেন বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে মুরারই থানার কোপা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নামে লাল্টু শেখ ২০০ বস্তা ইফকো এবং ইউরিয়া সার মজুত করেছেন। অনুপবাবু বলেন, “সারের কালোবাজারি রুখতে জেলাশাসকের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পাই নলহাটি থানার গোবিন্দপুর গ্রামে ২০০ বস্তা সরকারি সার ঢুকেছে। ওই দিন বিকেলে ট্রাকের চালান সংগ্রহ করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ওই গ্রামে লাল্টু শেখের দোকানে হানা দিই। জানতে পেরেছি, লাল্টু দীর্ঘদিন থেকে বিনা লাইসেন্সে সার বিক্রি করে আসছেন এবং লাগোয়া ঝাড়খণ্ডে সার পাচার করছেন।” অনুপবাবু জানান, লাল্টু শেখ সারের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানে পারেননি। বেআইনি ভাবে একটি সমবায় সমিতির নাম দিয়ে সার কিনে এনে ব্যবসা করছিলেন। তাঁর গুদামে তালা লাগানো হয়েছে এবং মজুত সরকারি সংস্থার সার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ দিন, সকালে বানিওর গ্রামে গোলক বিহারী মণ্ডল নামে আর এক মুদি দোকানে অভিযান চালানো হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইফকো সংস্থার রামপুরহাট মহকুমা ফিল্ড অফিসার জানান, সমবায় সমিতি অবৈধ ব্যবসাদারদের সরকারি সংস্থার সার বিক্রি করেছে কি না খোঁজ নেওয়া হবে। মুরারই থানার কোপা সমবায় সমিতির ম্যানেজার শশাঙ্ক শেখর পাল অবশ্য দাবি করেন, “ওই ব্যবসায়ী লাইসেন্স পুনর্নবিকরণ করেনি তা জানা ছিল না।”
স্কুলে চাল চুরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি
স্কুলের রান্নাঘরের তালা ভেঙে মিড-ডে মিলের চাল নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে নলহাটি থানার এমআরএম হাইস্কুলে ঘটনাটি ঘটে। স্কুলের টিচার ইনচার্জ হেমন্ত মণ্ডল জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা রান্না করার জন্য আমার কাছ থেকে চাবি নিয়ে যান। গিয়ে দেখেন, রান্নাঘরের তালা ভাঙা। ১২ কুইন্টাল চাল, যাবতীয় বাসন, অন্যান্য মশলা চুরি গিয়েছে। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আলোচনাসভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন
লিঙ্গ সচেতনতা বিষয়ক একটি আলোচনাসভা হয়ে গেল বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সভাকক্ষে। উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের সভাপতিত্বে সভায় লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণ সম্পর্কে নানা কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। বিশ্বভারতীর সকল স্তরের ছাত্রছাত্রী, কর্মী, অধ্যাপক এবং আধিকারিকদের নিয়ে গড়ে তোলা জনসচেতনতার কাজকর্ম নিয়ে এই প্রতিষ্ঠানের একটি কমিটি তাঁদের কর্মসূচি তুলে ধরেন। ২৫ তারিখ এই সম্পর্কিত দ্বিতীয় শিবিরটি কলাভবনে হবে।
সংবর্ধনা
আইএনটিইউসির রাজ্য সভাপতি রমেন পাণ্ডেকে সংবর্ধনা দিল বোলপুর মহকুমার শ্রমিক সংগঠন। তিনি বলেন, “বাম জমানায় ৬৫ হাজারের কিছু বেশি এবং তৃণমূলের জমানায় ২৬ হাজারের কিছু বেশি কলকারখানা এ রাজ্যে বন্ধ হয়েছে। একের পর এক শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে এই রাজ্যে সামাজিক বৈষম্য আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।” তিনি জানান, পৌনে তিন কোটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের সংগঠিত করার জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু
কীটনাশক খেয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। মৃতার নাম সরিফা বিবি (৪০)। ঘটনাটি ঘটে মাড়গ্রামের কাশীপুর গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক কারণে রবিবার রাতে মা-ছেলে কীটনাশক খান। দু’জনকেই রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোরে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। ছেলে এখনও চিকিৎসাধীন।