ট্রেনের এসি কামরায় কেপমারি

ডাউন কামাখ্যা-রাঁচি এক্সপ্রেসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় কেপমারির ঘটনা ঘটল শনিবার রাতে। ট্রেনটি রবিবার সকালে রামপুরহাট স্টেশনে থামার পরে যাত্রীদের একাংশ বিষয়টি রেল পুলিশকে জানান এবং সেই সঙ্গে তাঁরা ‘বি ওয়ান’ ও ‘বি টু’ কামরায় উপস্থিত কর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৪ ০০:১৪
Share:

ডাউন কামাখ্যা-রাঁচি এক্সপ্রেসের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় কেপমারির ঘটনা ঘটল শনিবার রাতে। ট্রেনটি রবিবার সকালে রামপুরহাট স্টেশনে থামার পরে যাত্রীদের একাংশ বিষয়টি রেল পুলিশকে জানান এবং সেই সঙ্গে তাঁরা ‘বি ওয়ান’ ও ‘বি টু’ কামরায় উপস্থিত কর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে রামপুরহাট স্টেশন ছাড়ে ট্রেনটি। রেল পুলিশের সাঁইথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিকাশ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, পাকুড় ও ফরাক্কা স্টেশনের মাঝে কেপমারির ঘটনা ঘটেছে। সে জন্য অভিযোগের প্রতিলিপি পাকুড় রেল পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”

Advertisement

এ দিন সকালে রামপুরহাট স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ১ নম্বর প্লাটফর্মে রাঁচিগামী ট্রেনটি তখনও দাঁড়িয়ে আছে।ভোর ৪.৪৫ মিনিটের পরিবর্তে রবিবার প্রায় ৪৫ মিনিট দেরিতে ট্রেনটি রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছয়। ট্রেনের ‘বি টু’ কামরায় দরজা লাগোয়া ৪১ নম্বর আসনে বসেছিলেন নীলাক্ষি দত্ত নামে এক মহিলা। তিনি স্বামী অরিন্দম দত্তের সঙ্গে দুর্গাপুরে ফিরছিলেন। অরিন্দমবাবু দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। তিনি বলেন, “আমার কাছে ব্যাগপত্র ছিল। ট্রেন ফারাক্কা ছাড়ার পর একটু চোখ লেগে গিয়েছিল। পাকুড় স্টেশনে ট্রেন ঢোকার পর বুঝতে পারি আমার কাছে থাকা একটি ব্যাগ নেই। এর পর দু’এক জন যাত্রীকে বিষয়টি বলতেই জানতে পারি, এ রকম ঘটনা ‘বি ওয়ান’ কামরাতেও দশ জন যাত্রীর ব্যাগপত্র কেউ নিয়ে পালিয়েছি।” যাত্রীদের অভিযোগ, “পরে টিটির কাছে কেপমারির অভিযোগ করতে গেলে, অভিযোগ নিতে পারবেন না বলে তিনি জানিয়ে দেন। এর পর ট্রেনের ভিতর আরপিএফ কর্মীর খোঁজ করি। কিন্তু অভিযোগ করার মতো কাউকে পাওয়া যায়নি।” রাঁচির বাসিন্দা মনু ঝা বললেন, “কামাখ্যা থেকে পুজো দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। রবিবার ভোরে ঘুম ভেঙে দেখি কাছে থাকা মানি ব্যাগ নেই। জানতে পারি আমার উপরের আসনে থাকা এক মহিলারও ব্যাগ কেপমারি হয়েছে।”

যাত্রীদের ক্ষোভ, ট্রেনের এসি কামরা। অথচ যাত্রী সুরক্ষার জন্য কোনও পুলিশের দেখা নেই। টিটি বি.কে পাণ্ডে অবশ্য দাবি করেছেন, “চলন্ত ট্রেনে কোনও যাত্রীর কিছু ঘটলে সাধারণত কর্তব্যরত টিটির কাছে অভিযোগ করতে হয়। যাত্রীদেরকে আমার কাছে অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে চেয়েছিলেন।”

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন