নিম্নমানের অভিযোগ, সামগ্রী ফেরত শিল্পীদের

নিম্নমানের মাল দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে তাঁত সরঞ্জাম নিলেন না রেশম শিল্পীরা। শুক্রবার মাড়গ্রামে রামপুরহাট ২ ব্লক অফিসের ঘটনা। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ব্লক অফিসে কেন্দ্রীয় বস্ত্র শিল্প অধিকার দফতর থেকে এলাকার তাঁত চাষিদের জন্য হস্তচালিত তাঁত বোনার সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছিল। মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর, বসোয়া, নতুনগ্রাম, বাতিনা, মাড়গ্রাম এলাকার ৪০ জন তাঁতশিল্পী সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৪৩
Share:

নিম্নমানের মাল দেওয়া হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে তাঁত সরঞ্জাম নিলেন না রেশম শিল্পীরা। শুক্রবার মাড়গ্রামে রামপুরহাট ২ ব্লক অফিসের ঘটনা।

Advertisement

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ব্লক অফিসে কেন্দ্রীয় বস্ত্র শিল্প অধিকার দফতর থেকে এলাকার তাঁত চাষিদের জন্য হস্তচালিত তাঁত বোনার সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছিল। মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর, বসোয়া, নতুনগ্রাম, বাতিনা, মাড়গ্রাম এলাকার ৪০ জন তাঁতশিল্পী সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু, ওই সরঞ্জাম নিম্নমানের এই অভিযোগ তুলে তাঁদের মধ্যে ৩২ জনই প্রতিবাদে তা না নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। বিষ্ণুপুরের রামপ্রসাদ দাস, তারাচরণ বিশ্বাস, বাতিনার পার্থ সিমলান্দি, মাড়গ্রামের তারক দাসরা বলেন, “রেশম তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তাঁতশিল্পীদের আর্থিক সামাজিক উন্নয়ণের জন্য কেন্দ্রীয় বস্ত্র শিল্প অধিকার দফতর থেকে এক বছর আগে ৪০ দিনের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তাঁতশিল্পীদের ৪, ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তাঁতশিল্পীদের ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার পাশাপাশি উন্নতমানের তাঁত বোনার জন্য হস্তচালিত তাঁতশিল্পের সরঞ্জামও দেওয়ার কথা ছিল।” তাঁদের অভিযোগ, তাঁতশিল্পীরা আজও ওই ঘর তৈরির টাকা পাননি। এ দিন হঠাৎ-ই সিউড়ি থেকে আধিকারিকেরা এসে তাঁতশিল্পীদের সরঞ্জাম দেওয়ার জন্য ব্লক অফিসে ডাকেন বলে জানা গিয়েছে।

ওই তাঁতশিল্পীদের বক্তব্য, এ দিন অফিসে এসে তাঁরা দেখেন যে সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিম্নমানের। তাঁরা বলেন, “তাঁত সরঞ্জামের গুণমান অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় আমরা সকলে মিলে তা গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিই। পরে জানতে পারি, ৮ জন তাঁতশিল্পীর হাতে জোর করে সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। যাঁরা নেননি, তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।” এ দিকে, এই সব অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি সিউড়ি থেকে আসা ওই আধিকারিকেরা। তাঁরা শুধু বলেন, “সাংবাদমাধ্যমকে কিছু বলার এক্তিয়ার আমাদের নেই।” অন্য দিকে, রামপুরহাট ২ বিডিও সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, “মাস ছ’য়েক আগে এলাকার তাঁতশিল্পীদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল। তখন তাঁরা আমার কাছে লিখিত ভাবে নিম্নমানের সরঞ্জাম না দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। আমি সেই আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েও দিয়েছিলাম।”

Advertisement

হাতাহাতি, ধৃত। রেস্তোরাঁয় বচসার জেরে হাতাহাতিতে আহত হলেন দু’জন। বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের দুর্গাচকের মঞ্জুশ্রী মোড়ে একটি রেস্তোরাঁর ঘটনা। এ দিন রাতেই দু’জনকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ ওই ঘটনায় দুর্গাচকের হাজরা মোড়ের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম টিঙ্কু মাইতি। মারপিটের ঘটনা নিয়ে হোটেল কতৃর্পক্ষ অবশ্য কিছু বসতে চাননি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ ওই রেস্তোরাঁর চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কয়েকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁরা গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে। হোটেলের একটি টেলিফোনও তাঁরা ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ। মারামারির সময় কাচের বোতল নিয়ে হাতাহাতির জেরে দু’জন আহত হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন