দুর্গাপুজো উপলক্ষে নিরাপত্তা ঢেলে সাজিয়েছে জেলা পুলিশ। মল্লারপুর, নলহাটি, মুরারই রুদ্রনগর, রাজগ্রাম, দুবরাজপুর, সিউড়ি, রাজনগর, বোলপুর, নানুর, থুপসাড়া, কীর্ণাহার প্রভৃতি এলাকাগুলিতে অতীতের কয়েকটি ঘটনাকে মনে রেখে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। জেলা শাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রত্যেকটি মহকুমা শাসক অফিসেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া জেলার ১৯টি ব্লক অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কিছু সংবেদনশীল এলাকায় বিশেষ ভাবে জেলা প্রশাসন থেকে নজর রাখা হয়েছে।”
জেলার বোলপুর মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মহকুমায় যেহেতু রাষ্ট্রপতি থাকবেন, সেই জন্য মহকুমাশাসক তাঁর নিজের দায়িত্বের মধ্যে সরকারি আইন মোতাবেক রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে ব্যস্ত থাকবেন। এছাড়া পুজো এবং তার পরেও ইদ উপলক্ষ্যে বিশেষ নজরদারি থাকবে পাড়ুই , ইলামবাজার, বোলপুর, নানুর, লাভপুর থানার বেশ কিছু এলাকায়।
সিউড়ি মহকুমার খয়রাশোল থানা এলাকার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবার। এছাড়া সাঁইথিয়া শহরে যেহেতু পুজো উপলক্ষে ভিড় বেশি হয়, সেখানেও বিশেষ নজর থাকবে প্রশাসনের। রামপুরহাট থানার রামপুরহাট, কাষ্টগড়া, মল্লারপুর, নারায়নপুর, তুরুকদিঘি, আয়াষের মতো এলাকা গুলিতে পুজো উপলক্ষ্যে আগে কিছু স্পর্শকাতর ঘটনা ঘটায় চিন্তিত প্রশাসন। ইতিমধ্যে মহকুমা শাসক অফিসে এবং মহকুমার ৮ টি ব্লক অফিসে শান্তি কমিটি এবং পুজো সমন্বয় কমিটিদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। শনিবার রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক কার্যালয়ে পুজো এবং ইদ উপলক্ষ্যে শান্তি পূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য মহকুমা শাসক সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়েও একটি বৈঠক করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে আরোও জানা গিয়েছে, বিসর্জনের দিন হিসাবে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে প্রতিটি পুজোর উদ্যোক্তাকে বলা হয়েছে।