রবিবারও রামপুরহাট পুর-নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে দলের অন্দরে। কার্যত, নির্বাচনে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। এলাকার বিধায়ক তথা রামপুরহাটের বাসিন্দা রাজ্যের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতরের আয়ুষ বিভাগের স্বাধীন মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার রক্তকরবী মঞ্চে কর্মী সভায় সাংগঠনিক দিকের কথা বলতে গিয়ে বলেই ফেলেন, ‘এক পোয়া জলে এক পোয়াই জল আঁটবে। দু’ পোয়া জল তো আঁটাতে পারব না’!
ঘটনা হল, গত লোকসভা নির্বাচনে ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতে বিজেপি-র কাছে পরাজয় এখনও তাড়িয়ে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূলকে। যদিও আশিসবাবু বা রামপুরহাট শহরের অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের ক্ষত শহরের তৃণমূল কর্মীরা সারিয়ে তুলেছেন। বিজেপি-র চেয়ে তাঁদের সাংগঠনিক অবস্থা এখন ভাল। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে এত দেরি কেন পুরসভার প্রার্থী নির্বাচনে?
জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে দলীয় কর্মী সভায় দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জেলার বিশিষ্ট নেতাদের উপস্থিতিতে মুখবন্ধ খামে রামপুরহাট পুরসভার নির্বাচনকে ঘিরে ১৮ জনের একটি কোর কমিটির একটি তালিকা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেন। সেই কমিটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট চিকিৎসক অশোক চট্টোপাধ্যায়। কমিটির সদস্য হিসাবে রয়েছেন শতাব্দী রায়-সহ দলের ব্লক স্তর এবং জেলা পরিষদ সদস্যও। নাম রয়েছে রামপুরহাট শহরের কয়েকজন নেতৃত্বরও। ঘটনা হল, সেই কমিটি একাধিক বার ঘন্টার পর ঘন্টা বৈঠক করেও, এখনও প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে পারেনি।
দলের অন্দরের খবর, বেশ কিছু ওয়ার্ডে মহিলা সংরক্ষনের জেরে নির্বাচিত কাউন্সিলররা বাদ যাচ্ছেন। এতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলের কর্মীদের মতবিরোধ দেখা দিচ্ছে। আবার বেশ কিছু ওয়ার্ডে দলের প্রার্থীর দাবিদার দলের পদাধিকারী ব্যক্তিরা। রবিবার রক্তকরবী মঞ্চে কর্মীসভা শেষে কোর কমিটির আহ্বায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “অধিকাংশ ওয়ার্ডে প্রার্থী ঠিক হয়ে গিয়েছে। যে সমস্ত ওয়ার্ডে প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে জটিলতা আছে, সেটা একবার পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।”