প্রধান শিক্ষককে ‘মারধরে’র ঘটনার পরে নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হলেন মাড়গ্রাম থানার চাঁদপাড়া হাইস্কুলের শিক্ষকরা। শুক্রবার শিক্ষক দিবসের দিন একই দাবিতে ওই স্কুলের শিক্ষকেরা স্কুলের প্রশাসক এবং সহকারী স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক ) মৈত্রী ভট্টাচার্যের কাছে আবেদন করেছেন। এ ছাড়া স্কুলের সমস্যা নিয়ে প্রধান শিক্ষক গৌতম রায় মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
গৌতমবাবুর দাবি, “গত ১ অগস্ট স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর স্কুলের মিড-ডে মিল-সহ যাবতীয় হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য স্কুলের ভারপ্রাপ্ত টিচার ইনচার্জ হংসগোপাল কুণ্ডুকে বলা হয়। অথচ উনি গড়িমসি করছেন। এ দিকে পাওনাদাররা প্রাপ্য টাকার জন্য আমার কাছ থেকে ঘুরে যাচ্ছেন। প্রায় এক মাস ধরে এ রকম ভাবে চলার পর বিষয়টি স্কুলের প্রশাসক তথা সহকারী স্কুল পরিদর্শক এবং জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক)এর কাছে লিখিত ভাবে নজরে আনা হয়। এর জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে রামপুরহাটে সহকারী স্কুল পরিদর্শকের অফিসে গেলে সহকারী শিক্ষক হংসগোপালবাবু কিছু লোক দিয়ে আমাকে মারধর করেন এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এই অবস্থায় আমি আর এক সহকারী শিক্ষকের মধ্যস্থতায় কোনও ক্রমে ছাড়া পাই।”
সহকারী স্কুল পরিদর্শক মৈত্রী ভট্টাচার্য বলেন, “ওই স্কুলের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছি। বর্তমান প্রধান শিক্ষক এবং আগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে নিয়ে অনেক বার আলোচনায় বসা হয়েছে। কিন্তু কেউ নিজেদের অবস্থান থেকে সরছেন না। বৃহস্পতিবার দুপুরেও আমার অফিসে ওঁরা দু’জনে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তার আগে দুপুরে হংসগোপালবাবু তাঁকে স্কুলে মহিলা দিয়ে হেনস্থা করেছেন বলে লিখিত অভিযোগ ওঠে। পরে রাতে প্রধান শিক্ষক গৌতমবাবু ফোনে জানান তাঁকে আমার অফিসের সামনে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এখন বিষয়টি আইনের লড়াইয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আজ শনিবার মহকুমাশাসক উভয়পক্ষকে এবং আমাকে ডেকেছেন। দেখা যাক কী হয়।” মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “শনিবার উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। সেখানে বিডিও এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যাবে।” স্কুলের সহকারী শিক্ষক তথা আগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হংসগোপালবাবু বলেন, “আমি নিজেও যখন চার্জ নিয়েছিলাম তখন কিছুই হিসেব বুঝে পাইনি। এই অবস্থায় আমি নিজেও অসহায় এবং এখন সমস্ত শিক্ষক একদিকে আমি একা। মহকুমাশাসক ডেকেছেন। সেখানে যা বলার বলব।”