পুলিশি ‘নিষ্ক্রিয়তা’, অবরোধ বিজেপি-র

তারাপীঠ-সহ সংলগ্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর দিনের পর দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃৃতীদের আক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ দুষ্কৃৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই সব নানা অভিযোগ তুলে শুক্রবার এক ঘণ্টারও বেশি সময় রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রাস্তার উপর, মাড়গ্রাম থানার কড়কড়িয়া মোড়ে অবরোধ করল বিজেপি। পরে পুলিশ গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার মৌখিক আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিজেপি। অবরোধ তুলে নিলেও বিজেপি নেতৃত্বের হুমকি, রবিবারের মধ্যে দষ্কৃৃতীদের গ্রেফতার করা না হলে সোমবার তারাপীঠ বন্ধ কর্মসূচি নেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৫৭
Share:

পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র

তারাপীঠ-সহ সংলগ্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপর দিনের পর দিন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃৃতীদের আক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ দুষ্কৃৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই সব নানা অভিযোগ তুলে শুক্রবার এক ঘণ্টারও বেশি সময় রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রাস্তার উপর, মাড়গ্রাম থানার কড়কড়িয়া মোড়ে অবরোধ করল বিজেপি। পরে পুলিশ গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার মৌখিক আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় বিজেপি। অবরোধ তুলে নিলেও বিজেপি নেতৃত্বের হুমকি, রবিবারের মধ্যে দষ্কৃৃতীদের গ্রেফতার করা না হলে সোমবার তারাপীঠ বন্ধ কর্মসূচি নেওয়া হবে। এই হুমকিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তৃণমূলের রামপুরহাট ২ ব্লক সভাপতি তথা তারাপীঠের বাসিন্দা সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি’র ক্ষমতা থাকলে তারাপীঠে বন্ধ পালন করে দেখাক।”

Advertisement

এ দিনের বিক্ষোভ-অবরোধ কর্মসূচিতে ছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, দলের রামপুরহাট ২ মণ্ডল কমিটির সভাপতি মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য, সাহাপুর অঞ্চল কমিটির সভাপতি কৃষ্ণকুমার মণ্ডল-সহ আরও অনেক শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব। তারাপীঠ এলাকার লজ মালিক তারাশঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, “রবিবার সন্ধ্যায় আমার লজের সামনে এক দল যুবক মদ্যপ অবস্থায় পর্যটকদের উপর চড়াও হয়। আমার লজের ম্যানেজার তাঁদেরকে মানা করে। পরে পুলিশ এসে বিষয়টি মিটিয়ে চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় ফের লজের সাত আট জন কর্মচারীকে ওরা মারধর করে। আমি পৌঁছলে আমাকে মাফলার ধরে টেনে মাটিতে ফেলে লাথি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে। স্থানীয় কিছু লোকজন আমাকে উদ্ধার করে।” তাঁর দাবি, “তারাপীঠ পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক তো করেইনি। এমনকী ঘটনার তদন্ত করার জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেনি। পরবর্তীতে এসডিপিও এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করা হলেও এখনও পুলিশের পক্ষ থেকে সদর্থক ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।” দুষ্কৃতীরা শাসকদলের মদতপুষ্ট হওয়ার জন্য পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলে দাবি তারাশঙ্করবাবুর।

অন্য দিকে, তৃণমূল প্রভাবিত তারাপীঠ লজ মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায় (তৃণমূলের রামপুরহাট ২ ব্লকের সভাপতি) পাল্টা অভিযোগ করেছেন, “তারাপীঠে যে কোনও ব্যাপারে তৃণমূলের দোষ দেখছে। আর লজ মালিক রাজা (তারাশঙ্কর ঘোষ) একজন সমাজ বিরোধী। সে জন্য তাঁকে আমাদের লজ মালিক অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে রাখা হয়নি। রাজা আগে সিপিএম করতেন। এখন বিজেপি’র আশ্রয়ে রয়েছেন।” তাঁর দাবি, “যতটুকু জানি রবিবার বিেকেলে তারাপীঠের কিছু যুবক নদীর ধারে তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পিকনিক করছিল। সেখানে বাইরে থেকে আসা কিছু যুবক মদ্যপ অবস্থায় মেয়েদের উদ্দেশ্যে খারাপ মন্তব্য করে। সে জন্য স্থানীয় ছেলেদের কিছু ঝামেলা হয়। ঘটনাচক্রে বাইরে থেকে আসা যুবকেরা রাজা’র লজে ঠাঁই নিয়েছিল। সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।” পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “কী হয়েছে জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখব।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন