পড়শির বাড়িতে বিদ্যুত্‌স্পৃষ্ট মহিলার দেহ

পড়শির বাড়ির কাঠের গাদায় মিলল শবর সম্প্রদায়ের এক মহিলার দেহ। বিদ্যুত্‌স্পৃষ্ট হয়ে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পুঞ্চা থানার দামোদরপুর গ্রামে। মৃতার নাম বালিকা শবর (৩৫)। বাড়ি ওই গ্রামেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুঞ্চা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৪ ০১:৪৭
Share:

পড়শির বাড়ির কাঠের গাদায় মিলল শবর সম্প্রদায়ের এক মহিলার দেহ। বিদ্যুত্‌স্পৃষ্ট হয়ে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে পুঞ্চা থানার দামোদরপুর গ্রামে। মৃতার নাম বালিকা শবর (৩৫)। বাড়ি ওই গ্রামেই। গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ এ দিন দুপুরে দেহ উদ্ধার করে ময়াতদন্তের জন্য পাঠায়।

Advertisement

পুঞ্চা-পুরুলিয়া রাস্তার ধারে বালিকাদেবীর বাড়ি। রাস্তার অন্য ধারে অর্জুন মাহাতো নামে গ্রামের এক সম্পন্ন চাষির বাড়ির পিছন দিকে ওই মহিলার দেহ মেলে। মৃতার স্বামী পার্থ শবর জানান, বুধবার রাত দশটা নাগাদ হঠাত্‌ তাঁর স্ত্রী বাইরে যান। প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে তিনি বাইরে গিয়েছেন ভেবে পার্থবাবু ফের শুয়ে পড়েন। এ দিন সকালে তাঁর বছর বারোর ছেলে বিপ্লব জানায়, তার মায়ের দেহ অর্জুনবাবুর বাড়িতে পড়ে আছে। পার্থবাবু বলেন, “আমি ছুটে গিয়ে দেখি, কাঠের গাদার কাছে আমার স্ত্রীর দেহ পড়ে আছে। ডান হাত ও পেটের চামড়া ঝলসে গেছে। বাঁ হাতের কব্জিতে আড়াআড়ি কালশিটের দাগ।” মৃতার দাদা গম্ভীর শবর বলেন, “অর্জুনবাবুর কথামতো কয়েক জন আমার বোনের দেহ রাস্তা ডিঙিয়ে বাড়িতে শুইয়ে রাখে। এর পর আমরা ঘটনার কথা পুলিশে জানাই।”

স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, অর্জুনবাবুর বাড়ির কাঠের গাদা থেকে মাঝেমধ্যেই কাঠ ও টুকিটাকি জিনিস উধাও হয়ে যেত। অর্জুনবাবু কয়েক জনকে সেকথা জানিয়েছিলেন। কাঠ চুরি আটকাতে তিনি তারের বেড়া দিয়েছিলেন। রোজ সন্ধ্যায় ওই তারে বিদ্যুতের সংযোগ দিতেন বলে গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ। তাঁদের অনুমান, বুধবার রাতে বালিকা কোনও কারণে সেখানে গিয়ে বিদ্যুত্‌স্পৃষ্ট হন।

Advertisement

এ দিন দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, কাঠের গাদায় তখনও তার জড়ানো। বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা তারের অংশটা কাটা। রাস্তার উপরেই একতলা বাড়িতে অজুনবাবুর একটি মনিহারির দোকান রয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, বালিকা শবরের দেহটি তাঁর বাড়ির পিছনে পড়েছিল। কিন্তু, কেন ও কী ভাবে এল, তা তিনি জানেন না বলেই তাঁর দাবি। তিনি কি জিনিস উধাও হওয়া আটকাতে তারে বিদ্যুত্‌ সংযোগ দিতেন? এ প্রশ্নের জবাবে অর্জুনবাবুর দাবি, এ পর্যন্ত তাঁর বাড়ি থেকে কোনও জিনিস খোওয়া যায়নি। ফলে, চুরি আটকাতে বিদ্যুত্‌ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

মৃতার দাদা অবশ্য পুঞ্চা থানায় অভিযোগ করে বোনের মৃত্যু-রহস্যের তদন্ত দাবি করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশও জানিয়েছে, বালিকাদেবী বিদ্যুত্‌স্পৃষ্ট হয়েই মারা গিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন