ফের বালির ট্রাক আটকে ছিনতাই

ফের বালিঘাটে যাওয়ার পথে ট্রাক চালকদের মারধর করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর এলাকা। দিন কুড়ি আগেই রামপুরহাট থানার খড়িডাঙা এলাকায় বালি ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদকে মারধর করে তাঁর বালি ভর্তি ট্রাক আটকে তোলা আদায় করার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৩১
Share:

ফের বালিঘাটে যাওয়ার পথে ট্রাক চালকদের মারধর করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থল রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর এলাকা। দিন কুড়ি আগেই রামপুরহাট থানার খড়িডাঙা এলাকায় বালি ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদকে মারধর করে তাঁর বালি ভর্তি ট্রাক আটকে তোলা আদায় করার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। তারই মধ্যে ফের ওই ব্যবসায়ীর বালিঘাট থেকে বালি তোলার পরে ট্রাক চালককে মারধর ও জোর করে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠল।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে রামপুরহাটের শালবুনি বালিঘাট থেকে নারায়ণপুরে বালি আনতে যাচ্ছিলেন ফরাক্কার এক ট্রাক চালক। জাহিদুর রহমান নামে ওই চালকের অভিযোগ, ৭-৮ জন দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে টাকাপয়সা ছিনতাই করে নেয়। বুধবার দুপুরেই তিনি রামপুরহাটের এসডিপিও এবং এসডিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি এ নিয়ে রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আবদুল হামিদও।

তাঁর অভিযোগ, “সরকারি অনুমোদন নিয়েও সরকার থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া বালিঘাট থেকে বালি আনতে পারছেন না ট্রাক চালকেরা। মঙ্গলবার রাতে আমার ওখান থেকে বালি তুলে আনার পথে নারায়ণপুর এলাকায় জায়গায় জায়গায় ঝামেলা করছে দুষ্কৃতীরা। যার শিকার হয়েছেন ওই ট্রাক চালক।” বহরমপুর নিবাসী ওই ব্যবসায়ীর ক্ষোভ, পুলিশের কাছে একাধিক বার অভিযোগ করা হচ্ছে। তবুও তারা কোনও সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না। যে কারণে পুলিসের উপর সাধারণের ভরসাও কমে যাচ্ছে। এতে করে বালি ঘাট এলাকা কার্যত তোলা আদায়ের জায়গা হয়ে পড়ছে।

Advertisement

আব্দুল হামিদ বলেন, “সরকারের ঘরে টাকা জমা দিয়েও ব্যবসা করতে পারছি না! ইতিমধ্যেই আমার প্রায় দেড় কোটি টাকা লগ্নি করা হয়ে গিয়েছে। অথচ ব্যবসা করার সুযোগই পাচ্ছি না।” তাঁর দাবি, জেলাশাসক থেকে প্রশাসনের সমস্ত স্তরে, জেলার পুলিশ সুপার, এমনকী রাজ্যের ডিজি-র কাছে অভিযোগ জানিয়েও তিনি কোনও সুরাহা পাচ্ছেন না।

জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী বলেন, “ওই ব্যবসায়ী আমার কাছে অভিযোগ করে থাকলে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্য দিকে, এসডিপিও (রামপুরহাট) জোবি থমাস কে বলেন, “আমি এখানে সবে দায়িত্ব নিয়েছি। ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ নেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন